বাণিজ্যের নামে কোন গোপন চুক্তি চলবে না: সিপিবি

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া একপেশে শর্তাবলির তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাণিজ্যের নামে কোন গোপন চুক্তি চলবে না। এটা বন্ধ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক আগ্রাসন ও দেশের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ইউএসটিআরের গোপন চিঠি বাংলাদেশ সরকার প্রকাশ করেনি।

ইতোমধ্যে একটি পত্রিকায় এ বিষয়টি আমাদের গোচরে এসেছে। এখানে যা দেখা যাচ্ছে, তা হলো বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শর্তাবলি একপ্রকার অর্থনৈতিক উপনিবেশবাদ। আমরা এ বিষয়ে সরকারকে চুক্তি প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।

আরও বলেন, এই গোপন চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে চীনা পণ্য বর্জন, সামরিক সরবরাহে মার্কিন নির্ভরতা বাড়ানো এবং ডিজিটাল নীতিতে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দেশের স্বাধীন নীতিনির্ধারণ ক্ষমতাকে ক্ষুন্ন করতে চাইছে। এটি বাংলাদেশের বহুমুখী বৈদেশিক নীতির পরিপন্থী ও জাতীয় স্বার্থের বিরোধী।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে ধ্বংস করতে পারে। বিশেষ করে পোশাক শিল্প, যা দেশের ৮৬৯ কোটি ডলারের রপ্তানি এবং ৪০ লাখ শ্রমিকের জীবিকার উৎস-তাকে হুমকির মুখে ফেলবে। এছাড়া মার্কিন কৃষিপণ্য (জিএমও গম, সয়াবিন) আমদানির শর্ত স্থানীয় কৃষকদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারকে যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে।

আরও বলেন, ইউএসটিআরের চুক্তির শর্তাবলি গোপন রাখা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতার পরিপন্থী। জনগণের সম্মতি ছাড়া এমন চুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এধরনের কোন চুক্তি করার অধিকার নেই।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দেশের স্বার্থ বিরোধী যে কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

কেএনে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অতীতে কোনো কোনো দেশ একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক রেখেছিল: জামায়াত আমীর Jul 16, 2025
img
কন্যা সন্তানের বাবা-মা হলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা Jul 16, 2025
বরিশালে এনসিপির পদযাত্রা Jul 16, 2025
img
বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ-দুর্নীতিমুক্ত করেই আমরা ঘরে ফিরব : নাহিদ ইসলাম Jul 16, 2025
img
জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার Jul 16, 2025
img
মহেশপুর সীমান্তে ৭ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর বিএসএফের Jul 15, 2025
img
কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেফতার Jul 15, 2025
img
জিয়া পরিবার ক্ষমতায় এলে দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে : সরওয়ার জামাল Jul 15, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঢাবি উপাচার্যের সাক্ষাৎ Jul 15, 2025
img
দীর্ঘ ৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার Jul 15, 2025
img
সিরিজের শেষ ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার ইঙ্গিত দিলেন সালাউদ্দিন Jul 15, 2025
img
‘সিআইডি’ তারকাদের পারিশ্রমিক, কে কত পান! Jul 15, 2025
img
ফের প্রেমের গুঞ্জনে হাওয়া দিলেন কৃতি স্যানন! Jul 15, 2025
img
৪৩ ছুঁই ছুঁই অ্যান্ডারসন দল পেলেন দ্য হান্ড্রেডে Jul 15, 2025
৪ হাজার কোটির রামায়ণ, ভারতীয় সিনেমায় নতুন মাইলফলক Jul 15, 2025
বিপিএলে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগোতে চাই: মাহবুব আনাম Jul 15, 2025
img
বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া : আসিফ নজরুল Jul 15, 2025
ছায়া ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বিএনপির, নির্বাচন প্রশ্নে সতর্ক বার্তা Jul 15, 2025
রাশিয়াকে ব্যথা না দিলে শান্তি আসবে না জেলেনস্কিকে ট্রাম্প Jul 15, 2025
বদলি আদেশ ছিঁড়ে ফেলায় এনবিআরের ৮ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত Jul 15, 2025