চার বছর আগের সেই ঘটনা এখনো মানুষের স্মৃতিতে টাটকা—মাদকযোগে গ্রেফতার শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান, আর তার তদন্তে নেতৃত্বে ছিলেন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। ঘটনার পর একের পর এক বিতর্ক, সমালোচনা, এবং ব্যক্তি আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। অবশেষে এক দীর্ঘ সময় পর, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়কার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন সমীর।
সমীর ওয়াংখেড়ে বলেন, “ঘটনার পর আমার উপর দিয়ে যেন ঝড় বয়ে গিয়েছিল। শুধু আমাকে নয়, আমার পরিবারকেও টার্গেট করা হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়েও কুৎসা রটানো হয়েছে। এমনকী তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও আমি আশঙ্কায় ছিলাম।”
তাঁর অভিযোগ, প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তিরা কোটি কোটি টাকা ঢেলে তৈরি করছেন ফ্যান ক্লাব, যেগুলির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেই ফ্যান ক্লাব থেকেই সমীরের বিরুদ্ধে এসেছে একের পর এক তির্যক মন্তব্য, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, এমনকি হুমকিও।
সমীরের মতে, “এই ধরনের আক্রমণ অনেকের পক্ষেই সহ্য করা সম্ভব নয়। আমি হয়তো পারিনি ভেঙে পড়তে, কিন্তু মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইনি—এমনটা নয়। কিন্তু এই অধ্যায় আমাকে আরও দৃঢ় করেছে।”
তিনি মনে করেন, সোশ্যাল মিডিয়া এখন এমন এক অস্ত্র, যেখান থেকে যে কেউ ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে পারেন। তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনেকটা কাজ শুরু করলেও, এই সমস্যার আরও গভীর সমাধান দরকার।
এত কিছুর পরেও সমীর ওয়াংখেড়ে বিশ্বাস করেন, দায়িত্বশীল পদে থেকে সত্যের পথে লড়াই করাই আসল কাজ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ অক্টোবর আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ২৮ অক্টোবর তিনি জামিন পান। পরে, ২০২২ সালের মে মাসে এনসিবি তাঁকে ক্লিনচিট দেয়।
কিন্তু এই ঘটনার রেশ আজও কাটেনি। একজন তদন্তকারী অফিসারের অভিজ্ঞতা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—মামলা শেষ হলেও, প্রভাব এবং প্রভাবশালীদের চাপ চলতেই থাকে।
এসএন