শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ ইতোমধ্যে হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের একটা সুযোগ রয়েছে টাইগারদের সামনে। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেন লিটন-মিরাজরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের মতো সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলে কিছু পরিবর্তন আসবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সালাউদ্দিন। যদিও উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার পক্ষে নন জাতীয় দলের এই সিনিয়র কোচ।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাসকিন আহমেদ এবং তানজিম হাসান সাকিব একাদশে ছিলেন। সঙ্গে মিডল অর্ডারে নাঈম শেখও ছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে তাদেরকে খেলানো হয়নি। মূলত ক্রিকেটারদের ইনজুরির কথা মাথায় রেখেই পরিবর্তন আনতে হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলের সিনিয়র কোচ সালাউদ্দিন।
আগের ম্যাচে মোট তিনটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। নাঈমের পরিবর্তে ছিলেন জাকের আলী অনিক। তানজিম সাকিবের পরিবর্তে একাদশে ছিলেন শরিফুল ইসলাম। আর তাসকিনের বদলি হিসেবে দলে ফিরেন মোস্তাফিজুর রহমান।
একাদশে পরিবর্তন এনে তার সুফলও পেয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে লঙ্কানদের ১৭৮ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষ ম্যাচে একাদশে জায়গা পেতে পারেন শেখ মেহেদী। অপরদিকে তাসকিনও ফিরতে পারেন এ ম্যাচে। যদিও কারো নাম উল্লেখ করেননি সালাহউদ্দিন। ‘দেখুন, কোনো টিমই তো চাইবে না তার উইনিং কম্বিনেশনটা ভাঙার জন্য। এটা তো নরমালি সবাই করে থাকে। বাট আমাদের ছেলেদের দিকেও তাকাতে হয় অনেক সময়। কারণ ছেলেরাও ইনজুরি থেকে অনেকে আসছে, অনেকের ওয়ার্কলোডটাও আমাদের খেয়াল করতে হয়। কারণ আমাদের পেস বোলারদের ফিট রাখাটা আমাদের জন্য খুব জরুরি। আর যেভাবে ধরেন টানা শিডিউল ছিলো, এখান থেকে আসলে ছেলেদের প্রতিদিন ম্যাচ খেলানোও আসলে আমাদের জন্য অনেক ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। তো আসলে টিমের সব দিকেই ব্যালেন্স করে আমাদের চলতে হয়।’
সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘এটা আপনারা বাইরে থেকে হয়তো বুঝবেন না। বাট আমাদের কাছে মনে হয় যে আমাদের অনেক কিছু ব্যালেন্স করে চলতে হয়। সো এই কারণে আসলে আমাদের প্লেয়ারদের সেফটিটাও তো আমার দেখা দরকার। এখন তাসকিনকে যদি আপনি টানা খেলাতে থাকেন, ও একটা বড়সড় ইনজুরি থেকে আসছে। সে যদি আবার খেলে, তার যদি আবার ইনজুরি হয়, তখন দেখা গেলো একটা ম্যাচের জন্য হয়তো তাকে এক বছর বসে থাকতে হতে পারে। তাই আমাদের সবদিকে ম্যানেজ করে চলতে হয়।’
তবে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর জন্য যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে সেটার পক্ষেও থাকবেন সালাউদ্দিন। সিরিজে ইতোমধ্যেই দুটি টেস্ট এবং তিনটি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। তা ছাড়া দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলে ফেলেছে। নিজেদের মাঠে শ্রীলঙ্কা কেমন দল, সে ব্যাপারেও তাই ভালোই জানা হয়েছে বাংলাদেশের।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই কারণে আমি বলবো যে আসলে টিমের যেটা বেস্ট কালকে হবে, সেটার দিকে আসলে আমরা খেয়াল রাখবো। প্রতিপক্ষ, দেখুন এখন তো অলরেডি পুরা সিরিজটা প্রায় শেষের দিকেই। এখন প্রতিপক্ষকে নিয়ে আসলে তো চিন্তা করার আগে আমি মনে করবো যে লাস্ট ম্যাচে কি করেছি সেটাও আসলে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ না।’
‘কালকে (বুধবার-১৬ জুলাই) আমরা যেন তাদেরকে হারাতে পারি সেই স্ট্র্যাটেজি নিয়েই আমাদের যেতে হবে। সেটাই হচ্ছে বেশি ইম্পরট্যান্ট এবং তার জন্য আমাদের যা যা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাওয়া দরকার সেটা নিয়ে আমরা যাবো।’ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বুধবার (১৬ জুলাই) সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।