চলতি বছরের শুরুতেই সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আডবানির ঘরে খুদে সদস্য আসার খবর এসেছিল। সমাজমাধ্যমে এই সুখবর ভাগ করে নিয়েছিলেন তারকা দম্পতি। ওই পোস্টে দেখা গিয়েছিল সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার দুই জোড়া হাতের উপর রাখা সাদা রঙের ছোট্ট একজোড়া মোজা। এ ভাবেই সন্তান আগমনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তারকা দম্পতি। তার সঙ্গে লিখেছেন, "আমাদের জীবনের সেরা উপহার। শীঘ্রই আসছে।"
বাবা-মা হলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন কিয়ারা আডবানি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শুটিং বন্ধ রেখেছিলেন কিয়ারা। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন অভিনেত্রী। যদিও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় হেঁটে নজির গড়েছিলেন তিনি।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। বিয়ের দু'বছরের মাথায় সুখবর দিলেন জুটিতে। তবে বহুদিন থেকেই কিয়ারার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়েছিল। গত বছর বড়দিনের তা আরও জোরালো হয়।
কারণ, বলিউডে তারকা জুটির সুখবর মানেই সাদা-কালো পলকা ডট পোশাক। অনুষ্কা শর্মা থেকে নাতাশা স্তানকোভিচ সন্তান আসার সুখবর ভাগ করে নিতে এই পোশাক বেছে নিয়েছিলেন। একই পোশাকে বড়দিনে নজর কেড়েছিলেন সিদ্ধার্থ ঘরনি কিয়ারা।
বড়দিনে স্বামী সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে একটি আদুরে ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছিল কিয়ারাকে। সেখানেই সাদা-কালো পলকা ডটের পোশাকে নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। কিয়ারার ওই পোস্টের মন্তব্যে নেটিজেনদের অনুমান ছিল, নতুন বছর শুরুর আগেই বোধহয় পরিবারে নতুন অতিথি আসার খবর এইভাবেই জানান দিয়েছিলেন তারকা জুটি। এবার পরিবারে নতুন সদস্য আসার খবর ভাগ করলেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা।
১২ জুলাই, শনিবার সিদ্ধার্থ ও কিয়ারাকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালের বাইরে দেখা যায়। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা তৎক্ষণাৎ ছেঁকে ধরে তারকা জুটিকে। তাই তাড়াতাড়ি হাসপাতালের ভিতর ঢুকে পড়েন হবু বাবা-মা। একটা বড় ছাতার আড়ালে কিয়ারাকে বেবি বাম্প আগলে হাসপাতালে ঢুকতে দেখা যায়। সঙ্গে দেখা যায় সিদ্ধার্থের শ্বশুরমশাই অর্থাৎ কিয়ারার বাবা জগদীপ আডবানিকেও। এই মুহূর্তের ছবি, ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নিমেষে তা ভাইরাল।
নেটিজেনদের অনুমান ছিল, সেদিনই সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন কিয়ারা? এই জল্পনার মাঝেই তারকা দম্পতি জানিয়েছিলেন তাঁরা নাকি রুটিন চেকআপের জন্যই হাসপাতালে এসেছিলেন। তবে এবার তার দু'দিনের মধ্যেই সুখবর দিলেন তারকা জুটি।
প্রসঙ্গত, সিদ্ধার্থ একটি চ্যাট শো-তে এসে সন্তানকে নিয়ে বলেছিলেন, "একজন সন্তানকে বড় করে তোলা মা-বাবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল একজন শিশুকে সাংস্কৃতিকভাবে আপনি কী কী শেখাচ্ছেন। একজন শিশুকে শেখানো উচিত আশেপাশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা কতটা জরুরি ও সমাজে থাকা কতটা জরুরি। শুধু তাই নয়, ছোট থেকেই একজনকে নিজের কাজের দায়িত্ব নিতে শিখতে হবে। বাবা মা যে শিক্ষায় নিজেরা বিশ্বাস করেন, সেই শিক্ষাই তিনি তাঁদের সন্তানকে দিতে পারবেন। একজন ছেলে হয় জন্ম থেকেই, কিন্তু সে একজন প্রকৃত পুরুষ হয়ে ওঠে নিজের স্বভাবে।"
অন্যদিকে, কিয়ারা এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি চান তাঁর সন্তান তাঁর বা সিদ্ধার্থের মতো নয়, যদি সেই সন্তান মেয়ে হয়, তাহলে সে যেন হয় করিনা কাপুর খানের মতোই। কারণ, করিনাকে নাকি আদর্শ হিসেবে মনে করেন কিয়ারা। সেই কারণেই কিয়ারা চান, তাঁর সন্তান হলে সে যেন করিনার মতোই বেড়ে ওঠে। এর আগে অবশ্য কিয়ারা জানিয়েছিলেন, ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন, তাঁর সন্তান যেন সুস্থ হয়।
পিএ/টিএ