গোপালগঞ্জের ঘটনা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার নীলনকশা : বিএনপি

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনায় সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

বুধবার গোপালগঞ্জে সংঘটিত এই সংঘাত-সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও, তা কার্যকর না হওয়ায় সরকার বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে, যা পরবর্তীতে আরও বাড়ানো হয়।

এই ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মতে, গোপালগঞ্জের এই সহিংসতা এবং পুরোনো ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার মতো সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

গোপালগঞ্জের এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে প্রতিশ্রুত সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। মব, হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এসব বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অযোগ্যতা ও নির্লিপ্ততা পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করে দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ফ্যাসিবাদি শক্তি ঠিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির মাথায় যে দুঃসাহস দেখিয়েছে এটা অপ্রত্যাশিত ছিল।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি নাই যে, গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে এতো শিগগিরই এই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সেটা গোপালগঞ্জে হোক বা অন্য কোথাও। এর কারণ হিসেবে সরকারের নির্লিপ্ততাকেই দায়ী করেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস Jul 18, 2025
‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’ রোগে আক্রান্ত ট্রাম্প Jul 18, 2025
img
ঐক্য বিনষ্ট হলে কী হয় তার আলামত পাওয়া যাচ্ছে : ডা. জাহিদ Jul 18, 2025
img
তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মিশনে দূত রদবদল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার Jul 18, 2025
img
দায়িত্ব পালন না করে শুধু শোষণ করেছে আওয়ামী লীগ : মোস্তফা জামান Jul 18, 2025
img
এখন থেকে মসজিদের সভাপতি হবেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা : ধর্ম উপদেষ্টা Jul 18, 2025
img
ম্যাচ জিতেও আর্থিক ক্ষতির মুখে ইংল্যান্ড Jul 18, 2025
img
সমাবেশকে ঘিরে যানজট-ভোগান্তির জন্য আগাম ক্ষমা চাইলো জামায়াত Jul 18, 2025
img
যেদিন যেভাবে শেখ মুজিবর রহমানের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান Jul 18, 2025
img
টক শো'তে আজ রাতে জায়েদ খানের অতিথি দীঘি Jul 18, 2025
img
১২ বছর পর স্টেডিয়ামে ফিরলেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা Jul 18, 2025
img
ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল শোধানাগারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইইউ’র Jul 18, 2025
img
‘লড়াই-প্রতিরোধে মানিকগঞ্জ একধাপ এগিয়ে থাকলেও উন্নয়নে পিছিয়ে’ Jul 18, 2025
মুজিববাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে Jul 18, 2025
img
হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : রাষ্ট্রদূত মুশফিক Jul 18, 2025
আরপিও সংস্কারে বাড়ছে ইসির ক্ষমতা Jul 18, 2025
img
স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে কনসার্টে, কোল্ডপ্লের মঞ্চেই ধরা CEO Jul 18, 2025
img
নিষিদ্ধ সংগঠনকে নিশ্চিহ্ন করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা: ইসলামী আন্দোলন Jul 18, 2025
img
আ.লীগ নেতাদের ভারতে আশ্রয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার Jul 18, 2025
img
সরকার ৭ দফা মেনে নিবে, আশা জামায়াতের Jul 18, 2025