এত নির্দোষ, নিরপরাধ ও নিষ্পাপ সরকার আমি দেখিনি : ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

‘এত নির্দোষ, নিরপরাধ ও নিষ্পাপ সরকার আমি দেখিনি’ এমন মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।


তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে মনে হচ্ছে আমরা এমন একটা অত্যন্ত নিরপরাধ, নির্দোষ ও নিষ্পাপ সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সামনে আগানোর চেষ্টা করছি।’

গতকাল রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে দরকষাকষিতে সরকারের দুর্বলতা তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা এখানে বসে এত কিছু বুঝি আর ওনারা (সরকারে থাকা ব্যক্তিরা) বোঝেন না, আমার কাছে তো এটি আশ্চর্য লাগে।

জন্যই বললাম এত নির্দোষ, নিরপরাধ ও নিষ্পাপ সরকার আমি দেখিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে (শুল্ক নিয়ে আলোচনায়) আমরা একটা কর্দমাক্ত অবস্থায় রয়েছি। তবে সবাই মিলে ওই ঘাটতি পূরণ করতে পারব, এ ভরসায় আছি।’

সরকারের সমন্বয়হীনতা তুলে ধরে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরো বলেন, কোনো দুর্বল সরকার সফল দরকষাকষি করেছে-ইতিহাসে এ নজির খুব কম।

একটি অসমন্বিত (সমন্বয় নেই এমন) সরকার তার সবচেয়ে বড় সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পেরেছে-এমন ইতিহাসও খুব নেই। এটি এমন এক সমন্বয়হীন সরকার, যার বিভিন্ন কাজের নেতৃত্বে কে আছেন, এটা বোঝা যায় না।

এ ছাড়া এ ধরনের সরকারের রাজনৈতিক বৈধতা না থাকলে সেটিও বড় দুর্বলতার অংশ হয়। বর্তমানে যেহেতু সরকার দুর্বল, সেহেতু শুল্কের আলোচনায় দুর্বলতার ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন ছিল।

সেটি হয়নি।

আগের সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের একটি পার্থক্য তুলে ধরেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমি একাধিক সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। আগের সরকারের সমস্যা ছিল তারা হয়তো কোনো বিষয়ে জানত না। এরপর আমরা কিছু নিয়ে গেলে ওনারা বলতেন, ও তাই নাকি? আচ্ছা আমাদের পরামর্শগুলো দেন, বাস্তবায়ন করি।

আর এখনকার সরকারের কাছে গেলে তারা বলে, এগুলো তো সব জানি। এসব নিয়ে আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না।’



পিএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img

শিক্ষা উপদেষ্টা

ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ Sep 17, 2025
img
বাংলাদেশ-কুয়েত বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াতে বৈঠক অনুষ্ঠিত Sep 17, 2025
img
গাজায় ভয়াবহ হামলা, আশ্রয়ের খোঁজে শহর ছাড়ছে হাজারো ফিলিস্তিনি Sep 17, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে জাকার্তা, ঢাকার অবস্থান ২৫তম Sep 17, 2025
পাকিস্তান ছাড়িয়ে বাংলাদেশেও জনপ্রিয় - কে এই হানিয়া আমির? Sep 17, 2025
img
এআই ট্রেন্ডে গা ভাসালেন আলিয়া Sep 17, 2025
img
মেসির গোলে স্বস্তির জয় ইন্টার মায়ামির Sep 17, 2025
img
দুর্যোগ মোকাবিলার চেয়ে প্রশমন বেশি গুরুত্বপূর্ণ : ফারুক ই আজম Sep 17, 2025
img
টিকটকের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা Sep 17, 2025
img
টেকনাফে দেড় লাখ মাদকসহ ৩ জন গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
হজ ব্যবস্থাপনায় ইন্দো-মালয়েশিয়ান মডেল নতুনত্ব আনতে পারে : ধর্ম উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
বাংলাদেশ পুলিশকে কম্পিউটার উপহার দিল চীনা দূতাবাস Sep 17, 2025
img
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০০ জয়ের ইতিহাস গড়লো রিয়াল Sep 17, 2025
ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর Sep 17, 2025
মন্ত্রী-এমপিদের স্বার্থে বন উজাড়, কড়া সমালোচ'না উপদেষ্টা রিজওয়ানার Sep 17, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Sep 17, 2025
img
৮ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বরুশিয়ার জয় রুখে দিল জুভেন্টাস Sep 17, 2025
img
জেনে নিন, দেশে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 17, 2025
img
আত্মঘাতী গোলে জয় পেল টটেনহ্যাম, আজারবাইজানের ক্লাবের কাছে হারল বেনফিকা Sep 17, 2025
img
গোলাম রাব্বানীর জিএস পদ অবৈধের সুপারিশে রাশেদ খাঁনের প্রতিক্রিয়া Sep 17, 2025