পরীক্ষা পেছানো সহ যৌক্তিক দাবিগুলোর ওপর সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে : শিক্ষা উপদেষ্টা

উত্তরার দিয়াবাড়িতে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো এবং শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে মুখ খুলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্তটি হুট করে নয়, বাস্তবতা ও আবেগের জায়গা থেকে নেয়া হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের পরিবার বিপর্যস্ত-এসব আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “পরীক্ষা না নিলে আমাদের কোনো আর্থিক ক্ষতি হতো না। কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন, তাদের বলছি-আমরা পরিস্থিতির গভীরতা উপলব্ধি করেই পদক্ষেপ নিয়েছি।”

বিমান দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা সেখানে গিয়েছিলাম সরকার পক্ষ থেকে সহানুভূতি জানাতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। আমরা শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নয়, সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেই সেখানে গিয়েছি।”

উপদেষ্টা আরও জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি দীর্ঘ সংলাপ হয়েছে এবং তারা বেশ কিছু যৌক্তিক দাবি তুলেছে। “আমরা ৬ দফা দাবি পেয়েছি, যার মধ্যে দুটি বিষয়ে কিছুটা সংবেদনশীলতা ছিল। সেটাও আমরা গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছি,” বলেন তিনি।

দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষদের বিষয়টি অবহিত করেছি।”

বল প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, “আমরা চাইনি কোন প্রকার বল প্রয়োগ হোক। প্রয়োজনে আমরা একদিন নয়, দুদিনও থাকতাম সেখানে। তবে শান্তিপূর্ণ সমাধানেই আমরা এগিয়ে গিয়েছি।”

অবশেষে তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার পর নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তে আমরা সংবেদনশীল ছিলাম, আছি এবং থাকব। শিক্ষার্থীদের যে কষ্ট, তা আমরা বুঝি এবং তাদের পাশে আছি।”

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাষ্ট্রের অর্থের অভাব পড়ল কোথায়, জানতে হবে : রনি Jul 24, 2025
img
দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি ছাড়লেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা Jul 24, 2025
img
কারাগারের ভেতরে ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে আ.লীগ এমপিদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে Jul 24, 2025
img
‘ওয়ার ২’ তে চমক হিসাবে শেষে থাকছে ‘আলফা’র আলিয়া-শারভারি Jul 24, 2025
img
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে গুলশানের বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া Jul 24, 2025
img
শাহিদ কাপুরকে নিয়ে ‘ছত্রপতি শিবাজি’ হচ্ছেনা, ক্ষুব্ধ পরিচালক অমিত রাই Jul 24, 2025
পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Jul 24, 2025
যেভাবে পরকীয়া প্রেমিকের কাহিনী শুনিয়েছিলেন টুনি নিজেই Jul 24, 2025
পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িতে সেনা তল্লাশি Jul 24, 2025
প্রিজন ভ্যানে অঝোরে কাঁদলেন পলক, দোয়ার আকুতি Jul 24, 2025
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদের ‘ওয়াকআউট Jul 24, 2025
জনবহুল শহরে উড়ছে সামরিক বিমান, খালি পরে আছে ছয়টিরও বেশি এয়ারফিল্ড Jul 24, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Jul 24, 2025
img
এনসিপির নিবন্ধনই নাই, বড় দল হিসেবে কীভাবে তাদের সরকার ডাকে : নুরুল হক নুর Jul 24, 2025
img
‘আমার পরিণতি সুশান্তের মতো’, আশঙ্কায় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত Jul 24, 2025
img
হামলার এক দিন আগেও পহেলগাঁওয়ে ছিলেন দীপিকা-শোয়েব Jul 24, 2025
img
অমিতাভ-আমিরের গাড়ি চালিয়ে কর ফাঁকি, বিপাকে কেজিএফ বাবু Jul 24, 2025
img
ব্যাংকে নারীদের ছোট দৈর্ঘের পোশাক ও লেগিংস নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক Jul 24, 2025
img
যে কোনো সংকট ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে : টুকু Jul 24, 2025
img
স্লো ওভার রেটের নিয়ম পুনর্বিবেচনার দাবি স্টোকসের Jul 24, 2025