নির্বাচন পেছাতে একটি শ্রেণিকে মাঠে রাখা হয়েছে : জাহেদ উর রহমান

নির্বাচন পেছাতে একটি শ্রেণিকে মাঠে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান। তিনি মনে করেন, বর্তমান সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্মভিত্তিক একটি শ্রেণিকে মাঠে রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি। এই গোষ্ঠীগুলোকে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করার পরিকল্পনা থাকতে পারে। যদি বিএনপি নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামে তখন এদের ‘কাউন্টার ফোর্স’ হিসেবে দাঁড় করানো হতে পারে।

সম্প্রতি এক আলোচনায় জাহেদ উর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবেই ধর্মের নামে গঠিত মব গুলোকে কঠোরভাবে হ্যান্ডেল করেনি। সরকার এই শ্রেণিকে মাঠে রাখতে চায় যাতে নির্বাচন পেছানোর প্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করা যায়।’

দেশের অর্থনীতি প্রসঙ্গে জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শীতল হয়ে পড়েছে। উচ্চ সুদের হার ও বিনিয়োগ হ্রাসের কারণে কর্মসংস্থান হ্রাস পাচ্ছে, অভ্যন্তরীণ ভোগ কমে যাচ্ছে এবং আমদানি কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ডলার কিনেছে যাতে টাকার মান অতিরিক্ত না বাড়ে। কারণ এতে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাত ব্যাহত হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় সব শ্রেণির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি। বাজারে ক্রয়ক্ষমতা ও বিক্রি কমে গেছে। পাড়ার মুদি দোকান থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ী পর্যন্ত সবাই বলছে, বাজার খারাপ অবস্থায় আছে।’

জাহেদ উর রহমান নিউইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘অবিশ্বাস্যভাবে সরকার এখন নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট সহ্য করতে পারছে না। অথচ এক সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই একই পত্রিকাকে আমরা ব্যবহার করেছি।’

জাহেদ উর রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশ বসে আছে এই ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠার সুযোগে—যাতে তারা বলতে পারে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে এক্সট্রিমিস্ট ইসলামিস্টরা এবং ড. ইউনূস হচ্ছেন নতুন সরকার।তিনি বলেন, ‘যতদিন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকবে। এই ‘ন্যারেটিভ’ তত দৃঢ় ভিত্তি পাবে এবং আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।’



ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
পুরনো কুচক্রীরা হাসিনা-মার্কা সুরে কথা বলছে : ইশরাক হোসেন Nov 09, 2025
img
রংপুর রাইডার্স ছেড়ে নতুন ঠিকানায় শেখ মেহেদী! Nov 09, 2025
img
‘ইসলামকে অবমাননা করে কেউ রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে না’ Nov 09, 2025
img
চাকরি আইনের সঙ্গে সরাসরি ‘সাংঘর্ষিক’ হবে আইজিপি নিয়োগ Nov 09, 2025
img
আজকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম Nov 09, 2025
img
বিক্ষোভে উত্তাল পর্তুগাল, রাজপথে হাজারও মানুষ Nov 09, 2025
img
দূষিত শহরের শীর্ষে ভারতের দিল্লি, ৪র্থ অবস্থানে রাজধানী ঢাকা Nov 09, 2025
img
শুষ্ক থাকবে ঢাকার আবহাওয়া, অপরিবর্তিত থাকবে দিনের তাপমাত্রা Nov 09, 2025
img
‘ধানের শীষের বিজয় মানেই নৌকার বিজয়’, বিএনপি প্রার্থীর বিতর্কিত মন্তব্যে বিক্ষোভ Nov 09, 2025
img
সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম নারী ডিসি আফরোজা আখতার Nov 09, 2025
img
জানুয়ারিতেই চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরছেন মেসি Nov 09, 2025
img
শেরপুরে জাল নোটসহ আটক ১ Nov 09, 2025
img
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মী কারাগারে Nov 09, 2025
img
দুর্দান্ত শুরুর পরও জয় হাতছাড়া আর্সেনালের Nov 09, 2025
img
তিন যুগ পর অক্ষয়ের সঙ্গে বাগদান নিয়ে কথা বললেন রাভিনা Nov 09, 2025
img
দ্বিতীয় দিনেও যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল Nov 09, 2025
img
জীবনযুদ্ধে টিকে থাকাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ দীপিকার Nov 09, 2025
img
এনসিপিই আগামী দিনের সরকার গঠন করবে: মাহবুব আলম Nov 09, 2025
img
সৌদি প্রো লিগে নতুন ইতিহাস গড়লেন রোনালদো Nov 09, 2025
img
চট্টগ্রামে জাতীয় বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা শুরু আজ Nov 09, 2025