ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন যুক্তরাজ্যের লিডস বাংলাদেশি সেন্টারের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি, নিহত ও আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষিকা ও সংশ্লিষ্ট সবার জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের নর্থ ওয়েলসের লালন্দ ও রিল এলাকায় লিডস বাংলাদেশি সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এক সামার ট্রিপে এ দাবি জানান প্রতিনিধিরা। এতে অংশ নেন লিডস কমিউনিটির অর্ধশতাধিক সদস্য।
ট্রিপে বক্তব্য দেন সেন্টারের জেনারেল সেক্রেটারি জাহেদ আলী ও সাংবাদিক মাহমুদ আজহার। তারা সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
দিনব্যাপী ভ্রমণের শুরু হয় সকাল পৌনে ৯টায়, লিডস থেকে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার যাত্রাপথে বাসেই চলে গান, গজল ও আলোচনা। সেন্টারের ডিরেক্টর আবুল আবেদীন ও জালাল উদ্দিনের উপস্থাপনা, শাহ আবু বকরের গজল, দিলওয়ার রহমান মুজিব ও আনোয়ার গণির পরিবেশনা অংশগ্রহণকারীদের আনন্দ দেয়।
সামার ট্রিপে অন্যানের মধ্যে অংশ নেন কাউন্সিলর আবদুল হান্নান, জিল্লু মিয়া, শরিয়ত উল্লাহ, আবদুল করিম, সানাউল হক সানু, আলফাজ মিয়া, আবুল খায়ের, দবির আহমেদ, জমশেদ মিয়া, আবদুল হাই, মুজাহিদ মিয়া, জুয়েল আহমেদ, আবদুল কালাম, সৈয়দ নান্নু মিয়া, কয়েস মিয়া, দিদার আহমেদ, ফজলুর রহমান, আহমেদ আলী প্রমুখ। লালন্দ সি সাইডটি ছিল পাহাড় আর সমুদ্রের মিতালি। প্রকৃতি ও সৌন্দর্যে ঘেরা। লিডস থেকে প্রথম গন্তব্য ছিল লালন্দ সি সাইড। সেখানে নেমেই দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই গ্রুপ বেধে বেরিয়ে পড়েন। কেউ বা সমুদ্র ও উচু পাহাড়ের ক্যাবল কারে ঘুরতে দেখা যায়।
আবদুল কাহহারের নেতৃত্বে তরুণদের একটি গ্রুপ ক্যাবল কারে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে দেখা যায়। অন্যদিকে লিল মিয়া, শাহিনূর, মুশাহিদের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ সমুদ্রের কূল ঘেষে ঘুরতে দেখা যায়। সেন্টারের সিনিয়র সদস্যরাও সমুদ্রপাড়ের টুরিস্ট জোনে হাটাহাটি করেন। পরে বিকাল সাড়ে তিনটায় নর্থ ওয়েলসের আরেক সি সাইড রিল ও ঘন্টাব্যাপী সময় কাটানো হয়। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই লিডসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা হয়। অবশ্য যাত্রাপথে এক রেস্তোরায় নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
এমকে/এসএন