যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ পাকিস্তানই নিয়েছিল: ভারত

পেহেলগামে বন্দুক হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করে নয়া দিল্লি। এতে পাকিস্তানের একাধিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালানো হয়। তবে থেমে থাকেনি পাকিস্তানও। সংঘাত শুরু প্রথম দিনই ইসলামাবাদ জানায় তারা ভারতের পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করেছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

তিন ধরে চলা সংঘাতের ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রচারিত হওয়ার পর ট্রাম্পের মধ্যস্থতার বিষয়টি অস্বীকার করে ভারত। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খুলেছে নয়াদিল্লি।

শুক্রবার (২০ জুলাই) লোকসভায় এ–সংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভারত সে কথারই পুনরাবৃত্তি করেছে, যা এত দিন ধরে বলা হচ্ছে। অর্থাৎ ভারত ও পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) নিজেরা আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে। ভারত বলেছে, যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ পাকিস্তানই নিয়েছিল।

তৃণমূল কংগ্রেসের মালা রায় ও দীপক অধিকারীসহ লোকসভার পাঁচজন সদস্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ–সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন করেছিলেন। তারা জানতে চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে ওই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল কি না?

তারা আরও জানতে চেয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার দেশের শুল্কনীতিকে হাতিয়ার করেছিলেন কি না। এই প্রশ্নও করা হয়, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ভারত যে তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতার বিরুদ্ধে, সে কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে কি না। আজ লিখিতভাবে সেসব প্রশ্নের জবাব দেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।

তিনি বলেছেন, ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। দুই দেশের ডিজিএমওরাই সেই সিদ্ধান্ত নেয়। সেই উদ্যোগ পাকিস্তানই নিয়েছিল।

কীর্তি বর্ধন সিং আরও বলেন, ভারত–পাকিস্তান সমস্যার সমাধান দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই হবে। এটাই ভারতের দীর্ঘকালীন অবস্থান। সেই অবস্থানের বদল ঘটেনি। তিনি জানিয়েছেন, এই অবস্থানের কথা সব দেশকেই জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সে কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও জানিয়ে দিয়েছেন।

এমআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কিশোরগঞ্জ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে বটে, কিন্তু পায়নি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: নাহিদ ইসলাম Jul 27, 2025
img
বাশার ও রাজ্জাকদের ম্যাচ রেফারি হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি Jul 27, 2025
img
বিমানবন্দর থেকেই আরও ৮০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া Jul 27, 2025
img
শেষ ওভারে হেনরির দুর্দান্ত বোলিং, ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড Jul 27, 2025
img
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার Jul 26, 2025
img
সকালের মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস Jul 26, 2025
img
মানুষের কাছে পরিষ্কার করতে হবে আমরা কীভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বো: আমীর খসরু Jul 26, 2025
img
৩ যোদ্ধার লড়াইয়ের কাহিনি ‘ওয়ার টু’, প্রথম দিনেই ১০০ কোটি আয়ের প্রত্যাশা Jul 26, 2025
ইউএস-বাংলাকে ২৭ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ নেপালের Jul 26, 2025
img
কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চাইলো দুদক Jul 26, 2025
টেস্ট কেমন? খেয়ে দেইখা পরে কন টেস্ট কেমন! | স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
নিষেধাজ্ঞা পেয়ে ‘খুবই হতাশ’ মেসি Jul 26, 2025
img
চীন থেকে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা পেল বাংলাদেশ Jul 26, 2025
img
৫ আগস্ট সরকারের মতবিনিময় কর্মসূচি বয়কট করা উচিত : সারজিস আলম Jul 26, 2025
img
টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরে যেতে পারেন বুমরাহ! Jul 26, 2025
img
মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, অংশ নিয়েছেন শতবর্ষী মাহাথির Jul 26, 2025
img
মাইলস্টোনের ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
তুরস্কের সাবেক এমপির সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক Jul 26, 2025
img
দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রমাণ জুলাই বিপ্লব : জ্বালানি সচিব Jul 26, 2025
img
আগামী নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে : ডা. শাহাদাত Jul 26, 2025