ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ওয়াকফ এস্টেটগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। এটি সম্পন্ন হলে ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা আরও সাবলীল ও স্বচ্ছ হবে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন ট্রেড সেন্টারের হামদর্দ মিলনায়তনে মোতাওয়াল্লী সমিতি বাংলাদেশ আয়োজিত মতবিনিময় ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ওয়াকফ এস্টেটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ওয়াকফ সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে একটি আলাদা বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, ওয়াকফ ইসলামি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাসুল (সা.)-এর জামানা থেকেই এটি চালু রয়েছে। এর মাধ্যমে জনকল্যাণ ও সেবামূলক কাজ সম্পাদিত হয়। তিনি বলেন, যারা ওয়াকফ করেছেন তাদের উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, মানুষের সেবা ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করা। ওয়াকিফদের মহৎ উদ্যোগ যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। মোতাওয়াল্লীদের আমি অনুরোধ করছি, তারা যেন সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরও বলেন, ওয়াকফ প্রশাসনের সব কর্মকাণ্ড আইন-কানুন মেনে পরিচালিত হবে। মোতাওয়াল্লীরা এস্টেটের মালিক নন, তারা কেবল ব্যবস্থাপক। ওয়াকফ দলিলের বাইরে কাউকে মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা হবে না, যত প্রভাবশালীই হোক না কেন। দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রোধে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যারা অসৎ পথে আছেন, তারা যেন দ্রুত সৎ পথে ফিরে আসেন।
সভায় মোতাওয়াল্লী সমিতির সভাপতি ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ওয়াকফ এস্টেটসমূহের সংকট নিরসনে করণীয় বিষয়ক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটোয়ারী।