দীর্ঘদিন ধরে চলা স্পট-ফিক্সিং ও বেটিং কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে অবশেষে মুক্তির দিকে এগোচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা। ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হামের এই ফুটবলারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে রায় মূলত তার পক্ষেই যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্কাই স্পোর্টস।
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) কর্তৃক পরিচালিত প্রায় দুই বছরের তদন্ত শেষে একটি স্বাধীন কমিশন পাকেতার পক্ষে রায় দিয়েছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।
রায় চূড়ান্ত হলে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করা পাকেতা পুনরায় স্বস্তিতে খেলোয়াড়ি জীবন চালিয়ে যেতে পারবেন।
২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ মৌসুমে চারটি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে হলুদ কার্ড নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাকেতার বিরুদ্ধে। যদিও এফএ কখনোই বলেনি যে পাকেতা নিজে বেটিংয়ে জড়িত ছিলেন, তবে অভিযোগ ছিল, তার কিছু পরিচিতজন ওই হলুদ কার্ডের ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে বেটিং করে অর্থ উপার্জন করেছেন।
এ ছাড়া, তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পাকেতার বিরুদ্ধে আরও দুটি চার্জ আনা হয়।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এফএ তার বিরুদ্ধে আজীবন নিষেধাজ্ঞারও সুপারিশ করেছিল।
তবে পাকেতা শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিস্মিত এবং আহত হয়েছি। আমি এফএকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি।
আমি কোনো অনিয়ম করিনি এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে লড়াই চালিয়ে যাব।’
তদন্তে উঠে আসে, সন্দেহভাজন বেটিংগুলোর উৎস ছিল মূলত পাকেতার ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু ও আত্মীয়। প্রায় ৬০টি ছোটখাটো বেটিংয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। যার আর্থিক পরিমাণ ছিল খুবই কম।
এমকে/টিকে