প্রাক মৌসুম এশিয়া ট্যুরের শুরুটা দারুণ হলো বার্সেলোনার। রোববার (২৭ জুলাই) জাপানিজ চ্যাম্পিয়ন ভিসেল কোবেকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে কাতালুনিয়ানরা। দুই সুপার সাবের কল্যাণে বড় জয় পেয়েছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে, দিনের আরেক ম্যাচে নিউক্যাসেল
প্রাক মৌসুমে এশিয়া ট্যুর এখন ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর জন্য সাধারণ ঘটনা। তবে এবার জাপান আসা নিয়ে বেশ বড়সড় নাটকই হয়ে গেলো কাতালুনিয়ানদের সঙ্গে। আয়োজকরা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে দাবি করে ট্যুরটাই বাতিল করতে চেয়েছিলেন হ্যান্সি ফ্লিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচের একদিন আগে জাপান এসে পৌঁছায় বার্সা।
ম্যাচের আগে তাই স্বাভাবিকভাবেই জেট লেগে ভুগছিলেন সবাই। ম্যাচ শুরুর পরও যে হন্তদন্ত ভাব কাটতে সময় লেগেছে অনেকটা সময়। আর এ সুযোগে কাতালুনিয়ায়নদের ওপর ছড়ি ঘুরায় ভিসেল কোবে। কিন্তু সময় যেতেই ঘুরে দাঁড়ায় ফ্লিক শিষ্যরা।
৩৩ মিনিটে প্রথমবার এগিয়ে যায় বার্সা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন কোবের ডিফেন্ডাররা। জটলার ভেতর থেকে আচমকা শটে দলকে আনন্দে ভাসান এরিক গার্সিয়া। ২০২৩ সালেও ভিসেল কোবের বিপক্ষে ম্যাচে গোল করেছিলেন এই স্প্যানিশ রাইট ব্যাক।
গোল খেলেও হতাশ হয়নি ভিসেল কোবে। ৪২ মিনিটেই দলকে সমতায় ফেরান তাইসেই মিয়াসিরো। পাউ কুর্বাসির ভুলে গোল হজম করে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধে পুরো দলের চেহারাটাই বদলে ফেলেন হ্যান্সি ফ্লিক। তুলে নেন লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়া, তরেস এবং পেদ্রিকে। বার্সেলোনার ১৪ নম্বর জার্সি পড়ে মাঠে নামেন মার্কাস রাশফোর্ড। বদলে যাওয়া দলটার আক্রমণ আটকাতে হিমশিম খায় ভিসেল কোবে। ৭৭ মিনিটে সেই সুযোগে দলকে এগিয়ে দেন বার্সার নতুন রিক্রুট সুইডিশ উইঙ্গার বার্গদি।
এগিয়ে গেলেও খুব একটা স্বস্তিতে ছিলোনা বার্সেলোনা। ভিসেল কোবেও ছেড়ে কথা বলেনি একেবারে। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেই আর গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছিলোনা স্প্যানিশরা। সমতায়ও ফিরতে পারেনি কোবে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে বার্সেলোনার শিবিরকে বড় জয়ের আনন্দ এনে দেন আরেক তরুণ তুর্কি ফের্নান্দেস। ৩-১ এর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।
দিনের আরেক ম্যাচ সিঙ্গাপুরে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয় আর্সেনাল। গানারদের বেশ ভালো পরীক্ষা নিয়েছে ম্যাগপাইরা। যদিও শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয়ই এসেছে মিকেল আর্তেতা শিবিরে।
ম্যাচের ৬ মিনিটেই পিছিয়ে যায় আর্সেনাল। এলাঙ্গার গোলে আনন্দে ভাসে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড। তবে, গোল খেলেও ম্যাচের রাশ ছাড়েনি গানাররা। দ্রুতই গুছিয়ে উঠে আক্রমণে যায় আর্সেনাল। ফল আসতেও বেশি দেরি হয়নি তাদের।
৩৩ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান মিকেল মেরিনো। আর দুই মিনিট পর অ্যালেক্স মারফির আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। তবে, নিজেদের জালে বল পাঠানোর দুঃখবোধ থেকে মুতি পেতে নিজেই স্কোরশিটে নাম লেখান মারফি। ৫৮ মিনিটে দলকে সমতায় আনেন তিনি। তবে, ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পেলে, স্পট কিক থেকে দলকে জয়সূচক গোল এনে দেন ওডেগার্ড। প্রাক মৌসুমে টানা দ্বিতীয় জয় পেলো গানার শিবির।
এমআর