কিছুদিন আগেই ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সামির দাউদ। ফুটবল নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরুর আগেই ভিন্ন এক ক্ষেত্রে জড়িয়েছে তার নাম। ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের শহর রোরাইমায় ভোটে অনিয়ম তদন্তে ‘অপারেশন কাইজা প্রেতা’ (ব্ল্যাক বক্স) শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। যেখানে সিবিএফ সভাপতি সামির অন্যতম সন্দেহভাজন।
ইএসপিএন ব্রাজিল জানিয়েছে, ২০২৪ সালে রোরাইমা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট ক্রয়ের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে ব্রাজিলের পুলিশ। সেখানকার ফেডারেল ডেপুটি হেলেনা লিমা এই তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু। তার স্বামী ও ব্যবসায়ী রেইনালদো লিমা রোরাইমায় পৌরসভা নির্বাচনের আগে ৫ লাখ ব্রাজিলিয়ান রিয়ালসহ গ্রেপ্তার হন।
হেলেনা লিমার অন্যতম সহযোগী সিবিএফ সভাপতি সামির। তারা একই রাজনৈতিক (এমডিবি) দলের সদস্য। প্রাথমিক পর্যায়ে সামির, হেলেনা, লিমা ও রোরাইমার যোগাযোগ অবকাঠামোর (ডিএনআইটি) সুপারিনটেনডেন্ট ইগো ব্রাসিল ছাড়াও আরও ৬ জন পুলিশের এই তদন্তের আওতাধীন রয়েছেন। সিবিএফ সদর দপ্তর ছাড়াও সামিরের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ।
সিবিএফ নিশ্চিত করেছে, ‘সকাল ৬টা ২৪ মিনিট থেকে ৬টা ৫২ মিনিটের মধ্যে সদর দপ্তরে পুলিশ এসেছে এবং এই অভিযান রোরাইমা নির্বাচনী আদালতের নির্দেশে শুরু হওয়া তদন্তের অংশ। এই অভিযানের সঙ্গে সিবিএফ ও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের কোনো সম্পর্ক নেই। সভাপতি সামির সাউদ তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু নন।’
রোরাইমা ও রিও ডি জেনিরোয় মোট ১০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তল্লাশি চালানোর পরোয়ানা জারি করে পুলিশ। এই তদন্তে সংশ্লিষ্ট সব সন্দেহভাজনের মোট ১ কোটি ব্রাজিলিয়ান রিয়াল জব্দের নির্দেশও দিয়েছেন নির্বাচনী আদালত।
৪১ বছর বয়সী সামির চলতি বছর মে মাসে সিবিএফের সভাপতি হন। তার বাবা জেকা সাউদ ২০২৩ সালে টানা ১৪তমবারের মতো রোরাইমা ফুটবল ফেডারেশনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ বিষয়ে সামির সাউদ, রেইনালদো লিমা ও হেলেনা লিমার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো উত্তর পায়নি ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো।
এর আগে ২০২২ সালে রোরাইমায় নির্বাচনে ফেডারেল ডেপুটি পদে দাঁড়িয়েছিলেন পেশায় চিকিৎসক এই সিবিএফ সভাপতি। কিন্তু তাকে হেলেনা লিমার বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সিবিএফের ইতিহাসে সাউদ অষ্টম ও সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি।
পিএ/এসএন