লিগ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রথম দেখায় জিতেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রতিশোধ নিলো দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা।প্রোটিয়াদের কাছে পাঁচ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৬.৫ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। লিগ পর্বের চার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছয় পয়েন্ট। অন্যদিকে তিন ম্যাচে বাংলাদেশ চার পয়েন্ট পেয়েছে।
রান তাড়ায় ১৪ রানের প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব ১৯ দল। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন আল ফাহাদ। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেবাশিস দেবার বলে মোহাম্মদ বুলবুলিয়া ৩৯ রান করে আউট হলে ভাঙে এ জুটি। তৃতীয় উইকেটে আরো বড় জুটি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭২ রানের জুটি গড়েন আরমান মানাক ও জেসন রোয়েলস।
একপ্রান্তে টিকে থেকে ফিফটি করেন আরমান। তাকে শিকার করে অবশেষে এই জুটি ভাঙেন ইকবাল হোসেন ইমন। বোলিংয়ে ফিরেই রোয়েলসকে আউট করেন ফাহাদ। ৪১ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। পরের ওভারেই আরেকটি উইকেট নেন ফাহাদ। তবে এর কিছু পরই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ বেলায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট শিকার জুনিয়র টাইগারদের আফসোস বাড়িয়েছে শুধু।
এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। জাওয়াদ আবরার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করলেও আজ ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৯ বলে ৭ রান করে ফাস্ট বোলার বুয়ান্ডা মাজোলার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। খানিকবাদেই রিফাত বেগকেও শিকার করেন মাজোলা। এই পেসারের বলে বিভ্রান্ত হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন রিফাত।
মাত্র ২২ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। তৃতীয় উইকেটে রিজান হোসেনকে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তামিম। রিজান ১৭ রান করে ক্যাচ আউট হলে এই জুটি ভেঙে যায়। মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ২২ বলে মাত্র ৮ রান করেই আউট হন। এদিকে ৬৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। তবে ৫৯ রান ক্যাচ আউট হয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৮১ বল খেলেন তিনি।
সামিউন বাসিরও দ্রুতই আউট হন। রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন দেবাশিস দেবা। ১৩০ রানেই অষ্টম উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে স্বাধীন ইসলামকে নিয়ে ২০ রানের জুটি গড়েন কালাম সিদ্দিকী। স্বাধীন ২০ বলে ৪ রান করেন। শেষ উইকেটে ইকবাল হোসেন ইমনকে নিয়েও ২৫ রানের জুটি গড়েন কালাম।
৭ বলে ৪ রান করে ইমন আউট হয়ে গেলে অলআউট হয় বাংলাদেশ। কালাম ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬১টি বল খেলেন তিনি। কালামের ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও একটি ছক্কা। বাংলাদেশ ৪৪.৫ ওভারে ১৭৫ রানে অলআউট হয়।
এমআর/টিএ