কিয়েভে রাতভর হামলা রুশ বাহিনীর, নিহত ৩১

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত থেকে ১ আগস্ট শুক্রবার ভোর পর্যন্ত একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৩১ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৫০ জন।

নিহত ৩১ জনের মধ্যে ১৬ জনই শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; সবচেয়ে কমবয়সী নিহত শিশুটির বয়স ২ বছর। নিহতদের স্মরণে আজ শনিবার জাতীয় শোকদিবস পালন করছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। পাশাপাশি নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কারণ, জেলেনস্কির দাবি, রুশ বাহিনীর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বাড়িঘর, আবাসিক ভবন, স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, চিকিৎসাকেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় ভবনসহ বিভিন্ন ধরনের ১০০টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানী কিয়েভের আবাসিক এলাকার একটি বড় ৯ তলা ভবনের বিশাল অংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।

“ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক ভবনের ধ্বংস্তূপগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা অনুসন্ধান তৎপরতা চালাচ্ছেন। আমরা এখনও জানি না কত জন মানুষ এসব ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছেন”, টেলিগ্রামবার্তায় বলেছেন জেলেনস্কি।

উল্লেখ্য, নিহত-আহত, ধ্বংসের মাত্রার হিসেবে এটি ছিল কিয়েভে রুশ বাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হামলা। গত বছর জুলাই মাসে একবার রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল রুশ বাহিনী। এতে ৩৩ জন নিহত হয়েছিলেন।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সে সময় বলেছিলেন, অভিযানে শুধু ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।

অভিযানের ৮ মাসের মাথায় ২০২২ সালের অক্টোবরে কিয়েভে হামলা করে রুশ সেনারা। সেটি ছিল ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার প্রথম হামলা।

শুক্রবারের টেলিগ্রামবার্তায় জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সদ্য বিদায় নেওয়া জুলাই মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে মোট ৫ হাজার ১০০টিরও বেশি গ্লাইড বোমা, ৩ হাজার আট শতাধিখ শাহেদ ড্রোন এবং প্রায় ২৬০টি বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে ১২৮টি ছিল ব্যালিস্টিক।

 পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যুক্তরাষ্ট্রে জাপানি পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১৪ শতাংশ Sep 17, 2025
img

তারেক রহমান

ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে Sep 17, 2025
img
সাকিবের ঝোড়ো ক্যামিও বৃথা, পুরান ঝড়ে অ্যান্টিগার বিদায় Sep 17, 2025
img
ফ্লাইট বাতিলেও ভাঙেনি যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স অভিবাসন চুক্তি Sep 17, 2025
img
দুর্গাপূজা ঘিরে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : সাতক্ষীরার এসপি Sep 17, 2025
img
মাস্কের শতকোটি ডলার বিনিয়োগে লাফিয়ে বাড়ছে টেসলারের দাম Sep 17, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে ২৭ হাজার ভোটারের বিপরীতে প্রার্থী ১০৮৮ Sep 17, 2025
img
সালমান-আমিরের উচ্চতা প্রসঙ্গে হৃতিকের কটাক্ষ Sep 17, 2025
img
এনসিপির জন্য প্রতিদিনই হতাশার খবর আসছে : মোস্তফা ফিরোজ Sep 17, 2025
img
জয়ে নির্ণায়ক ভূমিকা রাখা বোলারের প্রশংসায় তামিম Sep 17, 2025
img
বন্ধ মিটারেও বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা! Sep 17, 2025
img
খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ১৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা Sep 17, 2025
img
এই প্রথমবোরের মতো ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর অনুমতি দিলেন ট্রাম্প Sep 17, 2025
img
একীভূত হচ্ছে পাঁচটি ব্যাংক, অনুমোদন চূড়ান্ত Sep 17, 2025
img
সহকারী শিক্ষকদের কার্যক্রমে মাউশির নতুন নির্দেশনা Sep 17, 2025
img
জামালপুরের ইউএনও’র ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি, থানায় জিডি Sep 17, 2025
img
অস্কারের দৌড়ে ইরানের নতুন চলচ্চিত্র Sep 17, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, বাড়বে তাপমাত্রা Sep 17, 2025
img

শিক্ষা উপদেষ্টা

ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ Sep 17, 2025
img
বাংলাদেশ-কুয়েত বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াতে বৈঠক অনুষ্ঠিত Sep 17, 2025