নির্বাচনের আগে আমরা দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই : মুয়াযযম হোসাইন

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেছেন, আন্দোলনে হাজার-হাজার ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার জনকে আহত করা হয়েছে। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের খুনিদের বিচার করতে হবে। নির্বাচনের আগেই আমরা দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর আয়োজিত কেন্দ্রভিত্তিক প্রতিনিধি সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বরগুনা জেলা জামায়াতের আমির ও বরগুনা-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মো. মহিবুল্লাহ হারুন এবং বরগুনা-২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. সুলতান আহমেদসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

হেলাল বলেন, শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য ছাত্রজনতা ১৫ বছরের জুলুম নির্যাতন সহ্য করে আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন আনেনি। গত ৫৩-৫৪ বছরে দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল, যা পূরণ হয়নি। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, চাকরিসহ দেশের রাস্তাঘাট, পোল, কালভার্ট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমান শিক্ষা গ্রহণ ও চাকরি পাওয়ার সমান অধিকার এ সমস্ত কিছুর অনেক প্রত্যাশা ছিল। যা সবকিছুই নস্যাৎ করে দিয়েছে বিগত ৫৩ বছরে বিভিন্ন সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিলেন। দেশবাসী এবার পুরোনো কোন ধাঁচের সরকার দেখতে চায় না। এখন কল্যাণকর সমাজ ব্যবস্থা কায়েম হতে পারে এমন ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ৫৩-৫৪ বছরে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে দলের এবং নেতাদের। জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জামাত কখনো ক্ষমতায় না গেলেও ক্ষমতার সঙ্গে যতটুকু ছিল; মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জায়গায় যারা আছে তাদের চরিত্রে দুর্নীতির কোনো কালিমা লেপন করা সম্ভব হয়নি। জামাতের কর্মীরা নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে দল চালায়।

কেএন/টিকে



Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসকের যোগদান শিগগিরই : স্বাস্থ্যের ডিজি Sep 17, 2025
img
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট Sep 17, 2025
img
যারা গুপ্তভাবে কাজ করে তারাই অনিয়মের পথ বেছে নেয় : টুকু Sep 17, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার আইন ও বিচার ব্যবস্থায় অমূল পরিবর্তন করেছে: আসিফ নজরুল Sep 17, 2025
img
মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ Sep 17, 2025
img
গ্রেপ্তার এড়াতে শ্রমিক সেজেছিলেন, তবুও শেষ রক্ষা হলো না ছাত্রলীগ নেতার Sep 17, 2025
img
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর Sep 17, 2025
img
আগে বায়ার্ন মিউনিখকে হারাই, তারপর পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবব: চেলসি কোচ Sep 17, 2025
img
শরতের আবহে মিমের মুগ্ধতা Sep 17, 2025
img
ড. ইউনূসের সফরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে নিউইয়র্ক পুলিশ Sep 17, 2025
img
ফরিদগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের: আলী রীয়াজ Sep 17, 2025
img
রাজাকাররা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : সেলিমা রহমান Sep 17, 2025
img
শ্বশুরবাড়ি নয়, মায়ের কাছেই বেশি থাকছেন ঐশ্বরিয়া! Sep 17, 2025
img
অবশেষে কমলো স্বর্ণের দাম Sep 17, 2025
img
সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৭ কোটি ডলার Sep 17, 2025
img
ক্যারিয়ার, সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন মালাইকা Sep 17, 2025
img
নাটকীয়তা শেষে মাঠে আসলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা Sep 17, 2025
সংবিধান আদেশে জুলাই সনদের প্রস্তাবনা গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা পাবে Sep 17, 2025
রমনা কালীমন্দির পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 17, 2025