জুলাই বিপ্লবে আহতদের সেবায় চিকিৎসকদের নির্ভীক ভূমিকার যথাযথ স্বীকৃতি দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, বিলম্ব না করে জুলাই সনদ, জুলাই ডিক্লারেশন ও জুলাই চার্টারে চিকিৎসকদের অবদান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটি এখন সময়ের দাবি। ইতিহাসকে অসম্পূর্ণ রাখা যাবে না।
সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত চিকিৎসক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা তখন কারাগারে বন্দি। সেখান থেকেও আমরা আন্দোলনের উত্তাল ঢেউ অনুভব করেছি। প্রতিদিন খবর পেতাম, এই বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। কোটি কোটি মানুষ রাস্তায়, জনতার সেই জাগরণ আমাদের প্রেরণা দিয়েছে। মনে হয়েছিল, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বিশেষভাবে এনডিএফ (ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম) এর নেতাকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে আহতদের সেবায় চিকিৎসকদের যেভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তারাই জাতির প্রকৃত অভিভাবক।
তিনি আরো বলেন, এনডিএফের ভূমিকা শুধু চিকিৎসা নয়, এটা এক ধরনের বিপ্লব। আমি অনুরোধ করবো, এই অসাধারণ ত্যাগ আর আবেগময় স্মৃতিকে সংরক্ষণের জন্য একটি স্মরণিকা প্রকাশ করুন। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি প্রকাশ করা সম্ভব বলেই আমি মনে করি। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতায় পাশে থাকবো।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, চিকিৎসকদের মধ্যে একটি পক্ষ তখন রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে আহতদের চিকিৎসা দিতে বাধা দিয়েছে। তারা মানবতা আর পেশাদারিত্বের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আজও তারা বিচারের আওতায় আসেনি। এদের চিহ্নিত করে ব্ল্যাকলিস্ট করা উচিত। এনডিএফকে এই বিষয়ে সচ্চার হতে হবে।
চিকিৎসকদের সংগঠিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিয়ে এনডিএফকে হতে হবে বাংলাদেশের প্রকৃত নেতৃত্বশীল চিকিৎসক সংগঠন। যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে, তারাই হতে পারে আগামী দিনের পথপ্রদর্শক।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যদি সাহস, ত্যাগ আর বিশ্বাসের এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামীতে এনডিএফ বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পক্ষে সবচেয়ে প্রতিনিধিত্বশীল শক্তি হয়ে উঠবে।
এসএন