নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চার নারী ও তিন শিশু।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব জগদীশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রবাস ফেরত স্বজনকে আনতে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা মাইক্রোবাসযোগে ফিরছিলেন লক্ষ্মীপুরের চৌপল্লী গ্রামের বাড়িতে। পথে দ্রুতগতির মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গভীর খালে পড়ে যায়। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ১১ জনের মধ্যে চারজন পুরুষ (প্রবাসীসহ) কোনোমতে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলেও, পানির গভীরতা বেশি থাকায় আটকা পড়ে যান নারী ও শিশুরা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় একে একে সাতটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, লক্ষ্মীপুরের চৌপল্লী গ্রামের আব্দুর রহিমের ওমান প্রবাসী ছেলে বাহার উদ্দিনকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানাধীন পূর্ব চন্দ্রগঞ্জের জগদীশপুরে হাইস মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে ডুবে যায়।
কয়েকজন বের হতে পারলেও বাকিরা ভেতরে আটকা পড়ে মারা যান জানিয়ে তিনি বলেন, একই পরিবারের সাত জন সদস্য মারা গেছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। গাড়িটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিনের নানী ফয়েজ্জুনেছা (৮০), মা মোরশিদা বেগম (৫৫), স্ত্রী কবিতা বেগম (২৪), ভাবি লাবনী বেগম (৩০), ভাতিজি রেশমি আক্তার (৮), ভাতিজি লামিয়া আক্তার (৯) ও মেয়ে মীম আক্তার (২)।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ জানান, সাতটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের সবাই নারী ও শিশু।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান লিটন জানিয়েছেন, সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কেএন/এসএন