ঢাবির পর এবার জাবিতেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সকল রাজনৈতিক দলের হল কমিটি বাতিল ও আবাসিক হলের অভ্যন্তরে সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমেদ হল থেকে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি সবগুলো হল প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; হল পলিটিক্সের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন; হল পলিটিক্সের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; গণরুমের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; গেস্টরুমের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; ওয়ান টু থ্রী ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর; গেস্টরুমের আগমন, রুখে দাও দিতে হবে; হলে হলে খবর দে, হল পলিটিক্সের কবর দে;’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

এসময় বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সাকিব বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি চাইলেও হলে কোনো প্রকার রাজনীতি চাই না। কেননা হলে রাজনীতি ফিরলে আবারও গেস্টরুম, গণরুম ফিরবে এবং ক্যাম্পাসে আধিপত্যের রাজনীতি ফিরে আসবে। তাই আমাদের দাবি যেকোনো মূল্যে হল রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।’

ইতিহাস ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিগত বছরগুলোতে দেখেছি হল পলিটিক্সের মাধ্যমে ছাত্রলীগ কীভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল।

আমরা চাই না নতুন করে আবার সেই পুরনো কালচার ফিরে আসুক। আমরা চাই আমাদের হলগুলোতে সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে এবং অনতিবিলম্বে সকল রাজনৈতিক দলের ঘোষিত হল কমিটিগুলো বাতিল করতে হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘আমি তো হুট করেই একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিতে পারি না। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আমরা রবিবার একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করব। আলোচনা শেষে আমরা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিতে পারব বলে আশা রাখি।’

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফ্যাসিবাদের মতো কঠিন রোগ সরাতে পেরেছি, তামাক দূর করতে পারব না কেন: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসকের যোগদান শিগগিরই : স্বাস্থ্যের ডিজি Sep 17, 2025
img
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট Sep 17, 2025
img
যারা গুপ্তভাবে কাজ করে তারাই অনিয়মের পথ বেছে নেয় : টুকু Sep 17, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার আইন ও বিচার ব্যবস্থায় অমূল পরিবর্তন করেছে: আসিফ নজরুল Sep 17, 2025
img
মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ Sep 17, 2025
img
গ্রেপ্তার এড়াতে শ্রমিক সেজেছিলেন, তবুও শেষ রক্ষা হলো না ছাত্রলীগ নেতার Sep 17, 2025
img
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর Sep 17, 2025
img
আগে বায়ার্ন মিউনিখকে হারাই, তারপর পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবব: চেলসি কোচ Sep 17, 2025
img
শরতের আবহে মিমের মুগ্ধতা Sep 17, 2025
img
ড. ইউনূসের সফরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে নিউইয়র্ক পুলিশ Sep 17, 2025
img
ফরিদগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের: আলী রীয়াজ Sep 17, 2025
img
রাজাকাররা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : সেলিমা রহমান Sep 17, 2025
img
শ্বশুরবাড়ি নয়, মায়ের কাছেই বেশি থাকছেন ঐশ্বরিয়া! Sep 17, 2025
img
অবশেষে কমলো স্বর্ণের দাম Sep 17, 2025
img
সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৭ কোটি ডলার Sep 17, 2025
img
ক্যারিয়ার, সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন মালাইকা Sep 17, 2025
img
নাটকীয়তা শেষে মাঠে আসলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা Sep 17, 2025
সংবিধান আদেশে জুলাই সনদের প্রস্তাবনা গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা পাবে Sep 17, 2025