ভারতের উন্নতি হজম করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র : ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি

ভারতের উন্নতি হজম করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লেও কৌশলগত ও জাতীয় স্বার্থে কোনও আপস করবে না ভারত।

এমনকি জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত বাইরের চাপ উপেক্ষা করেই এগোবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার চেন্নাইয়ে এম এস স্বামীনাথন শতবর্ষ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতাকালে নাইডু বলেন, “আমরা জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষা করব এবং কৌশলগত ও জাতীয় স্বার্থে দৃঢ় থাকব। হুমকির মুখে নত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। হুমকি ভারতে কাজ করবে না।”

তিনি জানান, ভারত এখন ‘নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে’ আছে এবং ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ দর্শনের ভিত্তিতে সহযোগিতায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

মূলত ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন এবং ভারতকে “মৃত অর্থনীতির” দেশ বলে মন্তব্য করেছেন।

নাইডু বলেন, ভারত দ্রুত এগোচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে ‘স্বীকৃতি’ পাচ্ছে— যা কিছু দেশের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ভাষায়, “তারা আমাদের উন্নতি হজম করতে পারছে না। তাদের হজমে সমস্যা হচ্ছে।”

ভারত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে পৌঁছাচ্ছে উল্লেখ করে নাইডু আশা প্রকাশ করেন, কৃষক, গবেষক ও তরুণদের অবদানে দেশ আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, মিত্র দেশ ভারতের ওপর বেছে বেছে শুল্ক আরোপ কতটা ন্যায্য, যখন যুক্তরাষ্ট্র এখনো (রাশিয়া থেকে) ইউরেনিয়াম ও সার আমদানি করে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনে।

তার দাবি, “আমরা বন্ধু ছিলাম। আমরা সবসময় আমেরিকাকে শ্রদ্ধা করি, কারণ তারা প্রাচীনতম গণতন্ত্র আর আমরা বৃহত্তম গণতন্ত্র। আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কোনো উসকানি বা কারণ ছাড়াই ভারতের বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।”

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লিবিয়া থেকে ফিরল ৩০৯ বাংলাদেশি Oct 24, 2025
img
দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে : জাহিদ হোসেন Oct 24, 2025
img
শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ Oct 24, 2025
img
বতসোয়ানায় ৩৭.৪ ক্যারেট ওজনের বিরল অর্ধ-গোলাপী হীরা আবিষ্কৃত Oct 24, 2025
img
একটি ইসলামী দল অপপ্রচারে নেমেছে : এ্যানি Oct 24, 2025
img
অভ্যুত্থানের আগে আ. লীগের সঙ্গে জড়িতরা এনসিপিতে আসতে পারবে না : সারজিস Oct 24, 2025
img
টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ক্যারিবীয়দের মূল স্কোয়াডে পরিবর্তন Oct 24, 2025
img
সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ, হাসিনা, কাদেরসহ ১৭২ জনের নামে মামলা Oct 24, 2025
img
রশিদ-জাম্পাকে পেছনে ফেলে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড Oct 24, 2025
img
এনসিপিতে আছি, সরকার গঠন পর্যন্ত দলের সাথেই থাকবো : পাটওয়ারী Oct 24, 2025
img
হোটেলে ইঁদুর দেখে অজি নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে আতঙ্ক Oct 24, 2025
img
২৯ বছরের নারীর অভিযোগে সংগীত পরিচালক গ্রেপ্তার Oct 24, 2025
img
ঋতুপর্ণাদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল থাইল্যান্ড Oct 24, 2025
img
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরও মজবুত করার অঙ্গীকার ক্রিস্টেনসেনের Oct 24, 2025
বাংলাদেশ দলে সিদ্ধান্ত নেয় কে? স্পষ্ট করলেন মিরাজ Oct 24, 2025
শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানের নতুন সিরিজ, বিতর্ক ও গোপন সত্যের ছায়া! Oct 24, 2025
রাকসুতে নির্বাচিতদের উদ্দেশ্যে যা বলেন তাহসিন খান Oct 24, 2025
img
এনসিএলে ৮ দলের প্লেয়ার লিস্ট প্রকাশ Oct 24, 2025
img
রাশিয়া কখনোই মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না : ট্রাম্প Oct 24, 2025
img
ক্ষমতায় গেলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সব সমস্যার সমাধান করা হবে : মির্জা ফখরুল Oct 24, 2025