দেশের জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। ‘এই দিন দিন না আরো দিন আছে’- গানটি দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। এরপর গেয়েছেন অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান। নানা সময়ে নানা কারণে আলোচনায় এসেছেন কুদ্দুস বয়াতি।
বর্তমানে গানের জগতে বিচরণ কম হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় খ্যাতিমান এই লোকসংগীতশিল্পী। শুধু তাই নয়, ইউটিউব চ্যানেলেও নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করেন তিনি। বলা যায়, এই বিকল্প মাধ্যমেই এখন সবচেয়ে বেশি সময় কাটে তার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত বিভিন্ন ইস্যুতে পোস্ট করতে দেখা যায় কুদ্দুস বয়াতিকে।
বিভিন্ন প্রবাদ ও উপদেশমুলক কথাও লিখেন। সম্প্রতি তিনি সমাজের একশ্রেণির মানুষকে খোঁচা দিয়ে একটি পোস্ট করেছেন যা বেশ সাড়া ফেলেছে। সেই পোস্টে কুদ্দুস বয়াতি লিখেছেন, ‘ফেসবুকে খাবারের ছবি তারাই দেয়, যারা অনেকদিন পরে ভালো কিছু খেতে পায়।’
কুদ্দুস বয়াতির সেই পোস্ট বেশ সাড়া ফেলেছে তার অনুরাগীদের মাঝে।
অনেক অনুরাগী তার এ মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। মন্তব্য করে জানিয়েছেন নিজেদের মতামতও। কেউ লিখেছেন, ‘সহমত পোষণ করলাম।’ কারো মন্তব্য, ‘উচিত কথা কইছেন। আসলে খাবারের ছবি পোস্ট দেবার ভেতর ছোটলোকি মানসিকতা ফুটে ওঠে।
’ কারো ভাষ্য, ‘অবশ্যই কথার একটা তাৎপর্য আছে।’
লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতী শৈশব থেকেই গান-বাজনার অনুরাগী। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহুয়া, মলুয়া, দেওয়ান বাদশা, কাঞ্চন বাদশা, হাতেমতাইসহ অনেক ধরনের পালাগানের আসর মাতান। তবে ১৯৯২ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘এই দিন দিন না আরো দিন আছে’ শিরোনামে গানের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান কুদ্দুস বয়াতি। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রচারণার অংশ হিসেবে গানটি গেয়েছিলেন তিনি। এরপর আর পিছে তাকাতে হয়নি কুদ্দুস বয়াতিকে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়েও দেশবাসীকে সচেতন করতে কাজ করেছেন কুদ্দুস বয়াতি। ‘জাইনা চলেন, মাইনা চলেন’ শিরোনামে গানের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে কাজ করছেন এ লোকসংগীতশিল্পী। তিনি বিশ্বের অনেক দেশে গান গেয়ে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মন জয় করেছেন।
এফপি/এসএন