ঐতিহাসিক আলাস্কায় ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক

ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলাস্কার আঙ্কোরেজে বৈঠকে বসছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১১টার পর দুই নেতার এই প্রতিক্ষীত বৈঠক শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাই-প্রোফাইল বৈঠকের স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে আলাস্কার জয়েন্ট বেস এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসনকে। এটি আলাস্কার সবচেয়ে জনবহুল শহরের উত্তরে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের হুমকি মোকাবিলায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা এবং কেন্দ্রীয় কমান্ড পয়েন্ট হিসেবে কাজ করতো।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ১৮৬৭ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা কিনে নেয়। এই ঘটনা বৈঠকটিকে ঐতিহাসিক মাত্রা দিতে যাচ্ছে। ১৯৫৯ সালে এটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্য হয়।

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই বিশ্বনেতার নিরাপত্তা মানদণ্ড পূরণ করে, এমন সব ব্যবস্থা এই ঘাঁটিতে রয়েছে। তাড়াহুড়ো করে আয়োজিত বৈঠকের জন্য অন্য কোনো বিকল্প ছিল না।

অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ বলেন, দুই দেশ প্রতিবেশী এবং কেবল বেরিং প্রণালিই তাদের আলাদা করে।

তিনি বলেন, আমাদের দল সহজেই বেরিং প্রণালি অতিক্রম করে এখানে আসতে পারে, তাই দুই দেশের নেতাদের এই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যাশিত বৈঠক আলাস্কায় হওয়াই যৌক্তিক।

২০১৯ সালে প্রথম মেয়াদে ডোনাল্ড ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, এখানকার সৈন্যরা আমাদের দেশের শেষ সীমান্তে আমেরিকার ঢাল হিসেবে কাজ করছেন।

বিবিসি বলছে, স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই এই ঘাঁটি আলাস্কার বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি। ৬৪ হাজার একর আয়তনের এই স্থাপনা আর্কটিক অঞ্চলের সামরিক ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঘাঁটিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করে। এই সংখ্যা আঙ্কোরেজ শহরের বাসিন্দাদের তুলনায় ১০ শতাংশ।

১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঘাঁটি স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের হুমকি প্রতিহত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিমান প্রতিরক্ষা ও কেন্দ্রীয় কমান্ড পয়েন্ট হিসেবে কাজ করত।

১৯৫৭ সালে এই ঘাঁটিতে ২০০টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন ছিল এবং বহু বিমান নিয়ন্ত্রণ ও অ্যাডভান্সড রাডার সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছিল, যার কারণে এটি ‘টপ কভার ফর নর্থ আমেরিকা’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। কৌশলগত অবস্থান ও প্রশিক্ষণ সুবিধার কারণে ঘাঁটিটি ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে।

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জয়ে টেবিলের শীর্ষে এগিয়ে বায়ার্ন Oct 19, 2025
গণভোটের শর্তে জুলাই সনদে সই করেছে জামায়াত Oct 19, 2025
পরাজয়ের দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতেছেন রাকসুর হারা প্রার্থী Oct 19, 2025
শাপলা চত্বরে শ'হী'দ পরিবারদের হাতে আর্থিক সহায়তা হস্তান্তর, স্মৃতিস্তম্ভের ঘোষণা Oct 19, 2025
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা Oct 19, 2025
img
কার্গো ভিলেজের আগুনের ঘটনায় ২৫ আনসার সদস্য আহত Oct 19, 2025
img
শিক্ষা ভবন অভিমুখে শিক্ষকদের ভুখা মিছিল আজ Oct 19, 2025
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল Oct 19, 2025
img
বাংলাদেশ-কুয়েত সচিব পর্যায়ের বৈঠক আজ Oct 19, 2025
img
বাংলাদেশ গরিব না, রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিবাজ: কর্নেল অলি Oct 19, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করে ব্যক্তির জন্য ভোট চাচ্ছে জামায়াত: আবুল খায়ের ভূঁইয়া Oct 19, 2025
img
বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ শিকারের সময় ১৪ ভারতীয় জেলে আটক Oct 19, 2025
img
যারা বিএনপি ও আ. লীগকে এক পাল্লায় মাপতে চায়, তাদের ঈমানে সমস্যা আছে: প্রিন্স Oct 19, 2025
img
বাঙালির ইতিহাসে এত বড় দুর্ঘটনা কখনো ঘটেনি: রনি Oct 19, 2025
img
চেষ্টা করেছি হতাশ না হয়ে ধৈর্য রাখার: রিশাদ Oct 19, 2025
img
পল্লী চিকিৎসকের ধারণা জিয়াউর রহমানের, বিএনপি তা বজায় রাখবে: তারেক রহমান Oct 19, 2025
img
৮ মাস পর দেশে ফিরলেন ভারতের উপকূলে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ১২ নাবিক Oct 19, 2025
img
৩০ দিন ফাস্টফুড না খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন Oct 19, 2025
img
শত্রুর সঙ্গে থাকা যায় কিন্তু বিশ্বাসঘাতকের সঙ্গে নয়: রিয়া মনি Oct 19, 2025
img
বয়কট করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে কোয়াব Oct 19, 2025