জনপ্রিয় উপস্থাপক ও অনুসন্ধানী সাংবাদিক মুনজুরুল করিম পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কয়েকটি অসুবিধার কথা তুলে ধরেছেন। সম্প্রতি তিনি নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিওতে বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে অনেক দলের মধ্যে সংসদের আসন বন্টন হয়ে যায়। এতে সরকার গঠনে সময় লাগে। এমনকি সরকার গঠনের পরও প্রতিটি সিদ্ধান্তে বহু দলের মতামত নিতে হয়।
এতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও জটিলতা তৈরি হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে সরকারে সংখ্যালঘু দলগুলোর প্রভাব বাড়ে। কখনো কখনো অল্প ভোট পাওয়া দলও কিং মেকার হয়ে যায়। জবাবদিহিতা কমে যেতে পারে।
পিআর পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যরা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন না বরং দলীয় তালিকার মাধ্যমে আসেন। এতে জনগণের সঙ্গে তাদের কোন সরাসরি সম্পর্ক বা দায়বদ্ধতা থাকে না। ফলে সরাসরি নির্বাচিত প্রতিনিধির অভাবে জনগণের সাথে সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়ে। পিয়ার পদ্ধতিতে কোন একটি দল সহজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না।
এতে সরকার গঠনে অন্য দলের সাথে জোট গঠন করতে হয়। বড় দলগুলোকে বাধ্য হয়ে ছোট দলের বড় দাবিও মেনে নিতে হতে পারে। আর চাওয়া পাওয়া না মিললেই জোটে ভাঙ্গাগড়া লেগেই থাকে। তাতে সরকার অস্থীতিশীল হয় এবং সরকার পরিচালনায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।’
মুনজুরুল করিম বলেন, ‘ঘন ঘন নির্বাচনের আশঙ্কা। যে জোট সরকার গঠন করে সেই জোটে ভাঙ্গন হলে বারবার নির্বাচন দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তাতে দেশে ঘন ঘন রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়।
পিআর পদ্ধতিতে অনেক সময় চরমপন্থী ও উগ্র মতাদর্শের দলও সংসদে প্রবেশ করে এবং অপ্রত্যাশিতভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। সুশাসনের অভাব ও দুর্নীতি দায়িত্ব বিভাজনের কারণে কেউই পুরো দায় নিতে চায় না। এতে দায়বদ্ধতার হ্রাস পায় আর দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি হয়। বিদেশী প্রভাব ও হস্তক্ষেপের সুযোগ। যেহেতু সরকার দুর্বল হয় তাই বাইরের শক্তিগুলো সহজে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।’
কেএন/এসএন