গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর দ্বিকক্ষবিশিষ্ট নির্বাচন পদ্ধতির দাবি জানিয়ে বলেছেন, ‘উচ্চকক্ষের নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হওয়া উচিত।’
শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর কলেজ মোড়ে এক পথসভায় তিনি এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আমরা ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা একজন ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন। এমন একজন জনপ্রতিনিধি, যিনি জনগণের অধিকারের কথা বলবেন, জনগণের জন্য কাজ করবেন। তাহলেই আমাদের ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলন সার্থক হবে।’
যশোরের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এ পথসভায় তিনি বক্তব্য দেন।
গণঅধিকার পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি আল আমিন সরদারের সভাপতিত্বে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সির সঞ্চালনায় এ পথসভায় বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফরিদপুর বিভাগীয় গন অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যা ড. ফিরোজুর রহমান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ইব্রাহিম, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ মোজাহিদ, মুকসুদপুর উপজেলা গন অধিকার পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
পথসভাকে কেন্দ্র করে মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীসহ পুরো এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। পুলিশ র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অসংখ্য গুণী মানুষের জন্ম হয়েছে উল্লেখ করে পথসভায় নুর বলেন, এখানকার সব মানুষ খারাপ নয়, এখানে ভালো মানুষেরও বসবাস রয়েছে। তবে যারা খারাপ কাজে লিপ্ত ছিল, তাদের ক্ষমা করা যাবে না, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করতে না পারে, সেজন্য রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি এ বাহিনীকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা আন্দোলন দমন ও ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। প্রায় দুই হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, ৩০ হাজার মানুষ অঙ্গহানির শিকার হয়েছেন।
তিনি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এনসিপির কয়েকজন নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গোপালগঞ্জে শীর্ষ নেতাদের সেনাবাহিনী জীবন বাজি রেখে বাঁচিয়েছে। তাই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে না বুঝে কথা বলা উচিত নয়। সেনাবাহিনী আমাদের দেশের গর্ব, সব সময় বিপদ-আপদে তারা গৌরবময় ভূমিকা রেখে এসেছে।
এ পথসভায় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৬ বছর গণতন্ত্রকে হত্যা করে দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। গুম-খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
ইএ/টিকে