বিশ্ব চলচ্চিত্রের অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম জ্যাকি চ্যান। সম্প্রতি, জ্যাকি চ্যান মারা গিয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। প্রচারিত পোস্টটিতে তিনটি ছবির সমন্বয়ে তৈরি একটি ছবিও রয়েছে। যার একটিতে তার মরদেহের ছবি ও মৃত্যুর পূর্বে হাসপাতালে অবস্থানকালীন সময় ধারণ করা ছবি দাবিতে দুটি ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
আরেকটি ছবিতে তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।
তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, জ্যাকি চ্যান মারা যাননি। প্রকৃতপক্ষে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি তার মরদেহের ভুয়া ছবি তৈরি করে তার সাথে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তার পুরোনো ছবি যুক্ত করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
যেহেতু জ্যাকি চ্যান একজন আন্তর্জাতিক তারকা সেহেতু তিনি মারা গেলে তার মৃত্যুর খবরটি স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হবে।
কিন্তু অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কিংবা অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে তার মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে জ্যাকি চ্যানের বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অলিম্পিকের ওয়েবসাইটে আজ ২০ আগস্ট প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, জ্যাকি চ্যান সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের লুসান শহরে অবস্থিত দ্য অলিম্পিক হাউজের আইওসি অর্থাৎ, ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির সদর দপ্তর ভ্রমণ করেন। অলিম্পিকের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করেও তার সেখানে ভ্রমণের দুটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
যার একটি ভিডিও গত ১৮ আগস্ট এবং আরেকটি ভিডিও গত ১৯ আগস্ট প্রচার করা হয়। অপরদিকে তার মৃত্যুর দাবিতে করা পোস্টটি গত ১১ আগস্ট প্রচার করা হয়।
আলোচিত পোস্টটিতে তার মরদেহের ছবি দাবিতে প্রচারিত পোস্টটি পর্যালোচনায় রিউমর স্ক্যানার এতে বেশকিছু এআই জড়িত অসঙ্গতি লক্ষ্য করে। এ ছবিটি পরীক্ষা করলে দেখা যায়, এটি এআই দিয়ে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯.৯ শতাংশ।
অর্থাৎ, জ্যাকি চ্যানের মৃত্যুর দাবিতে প্রচারিত তার মরদেহের ছবিটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।
সুতরাং, অ্যাকশন সিনেমার তারকা জ্যাকি চ্যান মারা গিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
পিএ/টিকে