ইনজুরি থেকে ফিরে এক ম্যাচ খেলে আবারও অস্বস্তিতে পড়েছিলেন ইন্টার মায়ামির আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। যে কারণে তিনি মাঝে দুটি ম্যাচ মিস করেছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) লিগস কাপ সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে ফেরালেন কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো। যেখানে বিতর্কিত এক পেনাল্টিসহ জোড়া গোল করে মায়ামির ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন মেসি।
ভোরে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে অরল্যান্ডো সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। যদিও সফরকারী অরল্যান্ডোই ম্যাচে প্রথম লিড নিয়েছিল। এরপর মেসির জোড়া এবং তেলাস্কো সেগোভিয়ার এক গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এদিন বল দখলেও মায়ামির আধিপত্য ছিল। ৫৯ শতাংশ পজেশনের সঙ্গে ১৪ শট নিয়ে তারা ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। বিপরীতে ১১ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল অরল্যান্ডোর।
ম্যাচে অরল্যান্ডো লিড নেয় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে, মারকো পাসালিচ ১৮ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে বল জালে জড়ান। সফরকারীদের সেই লিড টিকেছিল ৭৭ মিনিট পর্যন্ত। যখন নিজেদের বক্সে মায়ামির তাদেও আলেন্দে ফাউলের শিকার হন। যদিও সেই ফাউল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, আলেন্দের দাবিমতে ডেভিড ব্রেকালো তার জার্সি ধরে টেনে ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে সেটি স্পষ্ট নয়। অথচ সেই ফাউলের জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ব্রেকালো। বাকি সময় ১০ জন নিয়ে খেলেছে অরল্যান্ডো।
সফল স্পটকিকে মেসি ঠান্ডা মাথায় মায়ামিকে সমতায় ফেরান। ৮৮ মিনিটে সতীর্থ জর্দি আলবার সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়ার পর বক্সে ঢুকে কোণাকুণি মাটি কামড়ানো শট নেন আলবিলেস্তে তারকা। যা অরল্যান্ডো গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও নাগাল পাননি। প্রতিপক্ষের একজন কম থাকার সুবিধা নিয়ে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মায়ামির তৃতীয় গোলটি করেন সেগোভিয়া। লুই সুয়ারেজের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় তিনিও বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন।
৩-১ গোলের এই জয় লিগস কাপের ফাইনালের পাশাপাশি ২০২৬ কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপেও জায়গা নিশ্চিত করেছে মায়ামি। ৩১ আগস্ট লিগস কাপের ফাইনালে মেসি-সুয়ারেজদের প্রতিপক্ষ এলএ গ্যালাক্সি কিংবা সিয়েটল সাউন্ডার্স এফসি।