আবারও যুদ্ধের সতর্কবার্তা ইরানের

ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের আঞ্চলিক যুদ্ধে ফের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা এখনো প্রবল। এ জন্য দেশীয় ফ্রন্টকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) তেহরানে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে গালিবাফ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি, আঞ্চলিক গতিশীলতা ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট সঠিকভাবে না বুঝলে ইরান বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ন্যাটো এবং কিছু আঞ্চলিক দেশের সামরিক সক্ষমতা সরাসরি ইরানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সমগ্র অঞ্চলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আমাদের বিরুদ্ধে একীভূত করেছিলেন। আজকে এই সব সক্ষমতা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।” গালিবাফ বলেন, ইরানের ওপর বাইরের চাপ এখনো অব্যাহত রয়েছে।

ইসরায়েলি সরকারকে তিনি নজিরবিহীন চাপের মধ্যে থাকা একটি শাসন হিসেবে উল্লেখ করে একে ২১ শতকের নতুন নাৎসিবাদ বলে আখ্যায়িত করেন।

সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের সামরিক দুর্বলতা শনাক্ত ও দূর করা হয়েছে এবং শক্তিগুলো আরও জোরদার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, “ইরানি জনগণের আমাদের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট ও বিভাজনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে।” গালিবাফের মতে, জাতীয় ঐক্য ভবিষ্যতের যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে একটি শক্ত প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করছে।

গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায়। পরে যুক্তরাষ্ট্র নাতাঞ্জ, ফোর্ডো এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হেনে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।

জবাবে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) “অপারেশন ট্রু প্রমিজ–৩” নামে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর। একইসঙ্গে তেহরান কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতেও হামলা চালায়, যেটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা।

সূত্র: নিউজ রেডিও

এমআর/এসএন  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াতের কেউ নির্বাচিত হলে সরকারি সুবিধা গ্রহণ করবে না: শফিকুর রহমান Nov 07, 2025
img
বিএনপি নির্বাচিত হলে সকল বন্ধ কলকারখানা চালু করা হবে: শামীম তালুকদার Nov 06, 2025
img
অডিশনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি অভিনেত্রী মৌনী রায় Nov 06, 2025
img
পাকিস্তান সব সময় বন্ধুর মতো পাশে থাকে: ইরানের স্পিকার Nov 06, 2025
img
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে বিএনপির গণসংযোগ Nov 06, 2025
img
মূল্যস্ফীতির জন্য নিজ সরকারকেই দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট Nov 06, 2025
img
চাদে পানি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩৩ Nov 06, 2025
img
সিমন্সকে গুগলিতে পরাস্ত করার গল্প শোনালেন আশরাফুল Nov 06, 2025
img
এবার ভিয়েতনামে আঘাত হানল টাইফুন কালমায়েগি Nov 06, 2025
img
বাংলাদেশ ম্যাচের আগে নেপাল ফুটবলে অসন্তোষের ঝড় Nov 06, 2025
img
বিএনপির পক্ষে জনজোয়ার দেখে কিছু দল হাংকি-পাংকি শুরু করেছে : প্রিন্স Nov 06, 2025
শাহরুখ-সালমান-আমিরের সম্ভাব্য যুগলবন্দি নিয়ে জল্পনা Nov 06, 2025
স্বাবলম্বিতার গল্প ভেজ্ঞে গেল রাজশাহীতে ফুটপাত উচ্ছেদে | Nov 06, 2025
পেঁয়াজ নিয়ে খেলা! Nov 06, 2025
প্রণোদনার ভাগ না দেয়ায় কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা Nov 06, 2025
'ব্যাডারা সমস্যার সমাধান করতে যাই, নারীদের রাখি না' Nov 06, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাঈদ Nov 06, 2025
img
বিশ্বকাপ জয়ই আমার ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দিয়েছে : মেসি Nov 06, 2025
img
তিউনিসিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনা Nov 06, 2025
img
ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে বিপিএল খেলবেন তাসকিন Nov 06, 2025