কলরেট বাড়ছে গ্রামীণফোনে

দেশের সর্ববৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন কলরেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কি পরিমাণ রেট বাড়ানো হবে,  তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) অপারেটর ঘোষণার বিধিনিষেধের আওতায় গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন কলরেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে গ্রামীণফোনের ডেটা চার্জও বেড়ে যেতে পারে।

বিটিআরসির প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে- খুচরা মোবাইল সেবাসংশ্লিষ্ট বাজারের নির্ণায়কসমূহ তথা গ্রাহক সংখ্যা, অর্জিত রাজস্ব ও কমিশন কর্তৃক বরাদ্দকৃত তরঙ্গ- এই তিনটি নির্ণায়কের মধ্যে কোনো মোবাইল অপারেটর ন্যূনতম একটিতে মোট বাজারের অন্তত ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করলেই সেটিকে এসএমপি হিসেবে নির্ধারণের বিধান রয়েছে।

সে অনুসারে গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্ব আয়ের দিক থেকে এসএমপির শর্তের মধ্যে পড়েছে গ্রামীণফোন। বাজারে গ্রামীণফোনের রাজস্ব শেয়ার ৫০ শতাংশ ও গ্রাহক ৪৭ শতাংশের বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। সে হিসেবেই ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোনকে দেশের প্রথম এসএমপি অপারেটর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, কলরেটের ওপর নিয়ন্ত্রণারোপ ছাড়া কেউ গ্রামীণফোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কিন্তু কি পরিমাণ রেট বাড়ানো হবে,  তা এখনও আমরা চূড়ান্ত করিনি।

মন্ত্রী বলেন, নম্বর পরিবর্তন না করে অন্য অপারেটরের সেবা নেয়ার সুযোগ গ্রাহকদের আছে। কাজেই যদি গ্রাহক মনে করেন, এটির কলরেট গ্রহণযোগ্য নয়, তবে সহজেই তারা অন্য নেটওয়ার্ক বেছে নিতে পারেন। এতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

তবে বাজারের গড় কলরেটের চেয়ে গ্রামীণফোনের কলরেট এমনিতেই বেশি। বর্তমানে যেকোনো মোবাইল অপারেটরে করসহ সর্বনিম্ন কলরেট হচ্ছে ৫৪ পয়সা। সেখানে গ্রামীণফোনের গড় কলরেট হচ্ছে ৭০ পয়সা।

 

টাইমস/এএস/এসআই

Share this news on: