করোনা : সেবনযোগ্য ওষুধ তৈরি করছে মার্কিন গবেষকরা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা যেন এখন পৃথিবীর বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলো করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য আদা জল খেয়ে নেমেছেন গবেষণায়। কিন্তু তারপরও যেন অধরাই থেকে যাচ্ছিল মহামারী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। তবে সম্প্রতি মার্কিন গবেষকরা দাবি করেছেন, তারা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে কার্যকর একটি ওষুধ বানিয়েছেন। যে ওষুধের প্রাথমিক পরীক্ষা এরই মধ্যে তারা সম্পন্ন করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে তৈরিকৃত ওই ওষুধের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের একদল গবেষক করোনাপ্রতিরোধী ‘ইআইডিডি-২৮০১’ নামে এই নতুন ওষুধ নিয়ে গবেষণা করেছেন।

এরই মধ্যে রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স নামের একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওই ওষুধ উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) মার্কিন ওই প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদনের অনুমতিও দিয়েছে। রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় জৈব প্রযুক্তি ও সংক্রামক রোগ নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করে থাকে।

এব্যাপারে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ‘রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স’ জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ১০ জন রোগীকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী মুখে খাওয়ার ওই ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে সেবন করানো হবে।

গবেষকরা বলছেন, ওষুধটি মূলত সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উচ্চ সংখ্যায় পুনরুৎপাদন এবং সংক্রমণে বাধা সৃষ্টি করে। এটি টেস্টটিউবে মানুষের ফুসফুসের কোষের প্রতিলিপিতে করোনাভাইরাসের বিস্তারে বাধা দিতে সক্ষম। পরীক্ষামূলকভাবে ইঁদুরের ওপর ওষুধটি প্রয়োগ করে সফলতাও পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

মার্কিন গবেষকদের দাবি, ওষুধটি এখনো মানুষের দেহে পরীক্ষা করা হয়নি। তবে ওষুধটি ইঁদুরের ওপর যে প্রভাব তৈরি করেছে, তা যদি মানুষের ক্ষেত্রেও হয়, তবে কোভিড-১৯ মহামারীর রোধের প্রতিষেধক হিসেবে এটাই হবে মুখে সেবনযোগ্য প্রথম বড়ি।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
হাসিনার ফ্যাসিবাদকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে ভারত : সাদিক কায়েম Dec 05, 2025
img
পবিত্র দাইভা চরিত্র অপমানের অভিযোগে রণবীরের বিরুদ্ধে মামলা Dec 05, 2025
img
খালেদা জিয়া ফ্লাই করতে পারবেন কি না সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা : মির্জা ফখরুল Dec 05, 2025
img
শুরু হলো ৫০তম বিসিএসের আবেদন, বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রকাশ Dec 05, 2025
img
জুলাই হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করাই এখন মূল লক্ষ্য: প্রেস সচিব Dec 05, 2025
img
দক্ষিণী সিনেমার নায়িকাদের নতুন অনুপ্রেরণা সম্যুক্তা মেনন Dec 05, 2025
img
অভিনয় জগতে ক্রমশ নতুন মাত্রা যোগ করছেন কল্যাণী প্রিয়দর্শন Dec 05, 2025
img
আরাকান আর্মির হাতে আরও ৬ বাংলাদেশি জেলে আটক Dec 05, 2025
img
ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারাল ইজিবাইকের ৩ যাত্রী Dec 05, 2025
img
জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসন খুব প্রয়োজন : সারজিস Dec 05, 2025
img
মায়ের বাসা ধানমন্ডিতে যেতে হাসপাতাল থেকে রওনা হয়েছেন জুবাইদা রহমান Dec 05, 2025
img
কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত, আন্দোলনকারীদের কাজে ফেরার নির্দেশ Dec 05, 2025
img
বেগম জিয়ার সুস্থতায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া Dec 05, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জ্বালানি কিনতে পারলে, ভারত কেন পারবে না: পুতিন Dec 05, 2025
img
সবার মুখে ‘চিকরি চিকরি’, জনপ্রিয়তার কারণ কী? Dec 05, 2025
img
বিশ্বকাপ নিয়ে দলনেতা মেসির সঙ্গে কথা হয়েছে ডি পলের Dec 05, 2025
img
নতুন নির্মাতাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা Dec 05, 2025
img
জাপানের বড় পর্দায় দাপট দেখাতে চলেছেন আল্লু অর্জুন Dec 05, 2025
img
উত্তরবঙ্গকে এগিয়ে নিতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Dec 05, 2025
img
পিঠা খেতে গ্রামের বাড়িতে রওনা দিলেন পরীমণি Dec 05, 2025