খুলনায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে খুলনায় ৩,৪৬৫টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩১৫টি চিংড়ি ঘের ও ৪২৫টি পুকুরে পানি ঢুকে মাছ ভেসে গেছে।

খুলনার দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ ও কয়রা উপজেলা ঘূর্ণিঝড় মনিটরিং কেন্দ্রের কর্মকর্তা জাফর রানা এ কথা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দাকোপ উপজেলায় ১৭৬৫টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত ও ৩১৫টি চিংড়ি ঘের ও ৪২৫টি পুকুরে পানি ঢুকে মাছ ভেসে গেছে। গাছপালা উপড়ে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।

অন্যদিকে কয়রা উপজেলায় ১ হাজার ৭শ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও সড়কের ওপর গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ৩১৫টি চিংড়ি ঘের ও ৪২৫টি পুকুর ভেসে গেছে। বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর গাছপালা ভেঙে ও উপরে পড়েছে।

কয়রা উপজেলা ঘূর্ণিঝড় মনিটরিং কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর রানা জানান, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানা গেছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তবে কয়রার কোথাও লোকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, বুলবুল এখন আর ঘূর্ণিঝড় নেই। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তাই দমকা বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। তবে উপকূলীয় জেলায় এখনও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। জোয়ারে পানি বাড়তে পারে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: