ইসিতে ১৪ দলের ৮ দফা

নির্বাচন কমিশনারের কাছে আট দফা দাবি নিয়ে চিঠি দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। শুক্রবার বিকালে ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে দিলীপ বড়ুয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনে তাদের দাবি সম্বলিত চিঠি নিয়ে যান।

এদিন ১৪ দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকও করেন।

এর আগে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছিল।

বৈঠক শেষে দিলীপ বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট যেসব অভিযোগ করছে তা বানোয়াট ও মিথ্যাচার। আমরা কমিশনকে আট দফা লিখিতভাবে দিয়েছি। প্রশাসনে প্রত্যাহার যথাযথ হবে বলে মনে করি না।

নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করতেই ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নানা অভিযোগ তুলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

১৪ দলের আট দফা

১. সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করায় বিএনপির বিরুদ্ধে ইসিকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. ঐক্যফ্রন্ট ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার কথা বলে ‘সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র’ করছে, যা আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। ঐকফ্যন্ট নেতা কামাল হোসেন ১৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের মতবিনিময় সভায় নির্বাচনী সভা করেছেন। এটা আচরণবিধি লঙ্ঘন।

৩. যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর অর্ধশতাধিক ব্যক্তি বিএনপির মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছে। এতে আতঙ্ক ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ইসিকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা জোরদার।

৫. পর্যবেক্ষকের নামে যাতে অযাচিত পক্ষাবলম্বন না করা হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

৬. ইসি কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারদের ব্রিফিং শেষে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তলব করার ‘মনগড়া ও কাল্পনিক’ অভিযোগ করেছে বিএনপি। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ ধরনের মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি’ ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৭. বিএনপির পক্ষ থেকে ৯২জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘বানোয়াট ও মিথ্যা’ অভিযোগ করা হয়েছে। এটি প্রশাসনকে ‘মানসিকভাবে কোনঠাসা’ করে নিজেদের ‘সুপ্ত এজেন্ডা’ বাস্তাবায়নের একটি ‘অপকৌশল’ মাত্র। এ ধরনের রদবদল হলে প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়বে। বিএনপির এ দাবির পক্ষে পদক্ষেপ নেয়ার যৌক্তিকতা নেই।

৮. ইসি সচিবসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তার শাস্তি দাবিসহ গোটা প্রশাসনে রদবদল দাবি ‘ষড়যন্ত্র’ ছাড়া কিছুই নয়। নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচালের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য’ এসব দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে।

আচরণবিধি ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী এসব ‘তৎপরতার’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির কাছে দাবি জানিয়েছে ১৪ দল।

Share this news on: