আদালতে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, আদালত ন্যায় ও ইনসাফের জায়গা, সেখানে এ ধরনের হামলা নিন্দাজনক।
আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) নবনিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্ল্যাহ পিয়াসের আদালতে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন শুনানিতে কর্তব্যরত সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আইনজীবীদের এ হামলায় একজন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন।
আদালতে সাংবাদিকের ওপর হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আদালত ন্যায় ও ইনসাফের জায়গা। সেখানে এ ধরনের হামলা নিন্দাজনক।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আদালতের বিভিন্ন বেঞ্চে আইনজীবীদের চাপ প্রয়োগের নানা ঘটনা আমরা দেখেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এ ব্যাপারে কঠোর হতে।’
এ সময় মব ভায়োলেন্স নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক কার্যক্রমকে মব বলা যাবে না। মব আর রাজনৈতিক কর্মসূচি দুটোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। মরদেহ পোড়ানোর মতো ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কাদের দায় আছে এবং কাদের অবহেলার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেটি আমি দেখব।’
তিনি বলেন, ‘কাকরাইলের ঘটনায় প্রথম হামলাটা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে হয়েছে। রাজনৈতিক দিক থেকেও এক ধরনের বোকামি কার্যক্রম। কাদের থেকে সাহস পেয়ে এ ধরনের কার্যক্রম করা হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছিল তারা অনেকে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘সংস্কার বিচার এবং গণতন্ত্র এই তিনটি নিয়েই আমরা কাজ করছি। যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র দেখছে, নির্বাচন হলে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগবে।’
এর আগে অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্র্যাকটিস হচ্ছে যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা তাদের কাছের মানুষকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। আমরা চেষ্টা করছি কোনো নির্দিষ্ট দলের লোক নিয়োগ না দিয়ে বরং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ দিতে। মেধাবীরা দেশের সম্পদ। কোনো স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। কোনো মামা-চাচা বা ঘুষ ছাড়া যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের সময় এসেছে দেশকে কিছু প্রতিদান দেয়ার।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু সরকারি সহযোগিতা নয়, আত্মকর্মসংস্থানে মনোযোগী হতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সবাই দায়িত্ব পালন করবেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন। যে সরকার ক্ষমতায় আসে তাদের লোক নিয়োগ দেয়া হয়। ১৬ বছরে প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ করা হয়েছে। পিডিবিএফের নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কোনো দলীয়করণ করিনি। তাই যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা কোনো দলের নয় আমাদের সম্পদ, দেশের সম্পদ।’
পিএ/টিএ