জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিয়ম ভাঙার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমান রোজেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৪ মিনিটে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন
“আমি মো:মশিউর রহমান রোজেন। যুগ্ম আহবায়ক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। আমি ছাত্রদল ঘোষিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সাথে কাজ করছি। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মত নির্বাচনের দিনের অনুমতি পত্র (পাস) আনতে যাই। কিন্তু আসার সময় গোপনে আমার ভিডিও করে, যা আমার প্রাইভেসি ভঙ্গ করে। এই বিষয়ের প্রতিবাদ করি ও এটি কেন করছে জানতে চাই? উক্ত ব্যক্তি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। ঐখানে সিসি ক্যামেরা আছে, যা দেখলে সত্য বের হয়ে আসবে। আমার উদাত্ত আহ্বান থাকবে সত্য যাচাই করেন, অন্যায় করে থাকলে শাস্তির ব্যবস্থা করবেন, না হলে ছাত্রদলের প্যানেলকে ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত করার অনুরোধ রইলো।”
তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই অনুমতিপত্র আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে বিতর্কে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ও বিএনপি'র যুক্তরাজ্যের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ মল্লিক, জার্মান প্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা মারুফ মল্লিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম অভি। এই ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থী এবং প্রার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার মধ্যে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে এ নির্দেশনা অমান্য করে নির্দ্বিধায় প্রবেশ করেছেন শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বহিরাগত ও প্রাক্তন নেতারা সহজেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন। আগের রাতে ইসির সঙ্গে বৈঠকও করেন তারা। এতে নির্বাচনী পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
এমকে/এসএন