চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, তা ভেবে দেখবে ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল নোমান।
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে একাধিক ব্যক্তি বসে আছেন, যারা একটা দলের হয়ে কাজ করেন। তারা থাকলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনে ছাত্রদল অংশ নেবে কি না, এ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান দেশের একটি গণমাধ্যমকেকে বলেন, ‘প্রশাসনের ৯৫ শতাংশ লোক জামায়াতের। তাদের থাকা অবস্থায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ চাকসু নির্বাচন হবে কি না, সে ব্যাপারে আমরা সন্দিহান। বিশেষ করে, প্রক্টরিয়াল বডি ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ বাধ্যতামূলক। আর নির্বাচন কমিশনেও সংস্কার করতে হবে।
আমরা দাবি জানিয়েছি আসছি, সে জায়গাগুলোতে নিরপেক্ষ লোক বসানোর জন্য, কিন্তু আমাদের কথা শোনা হয়নি।’
গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের ঘটনা টেনে নোমান বলেন, ‘স্থানীয়দের দ্বারা শিক্ষার্থীরা যে হামলার শিকার হলো এর কোনো সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে পারছে? তারা আহতদের লিস্ট তৈরি করতে পেরেছে? তাহলে কিভাবে ভাবল তারা প্রশাসনে থাকলে আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রশাসনের একটা বড় পক্ষ একটা দলের এজেন্ডা সার্ভ করে, যা ভাবনার বিষয়। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, নির্বাচন কমিশন, প্রক্টরিয়াল বডিসহ যে জায়গাগুলো নিরপেক্ষ নয়, সেগুলো ঢেলে সাজানো না হলে আমরা নির্বাচন নাও থাকতে পারি। আমরা নির্বাচনে যাব কি যাব না, সে ব্যাপারে দলগত সিদ্ধান্ত নেব।’