বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করুন। রাজনীতি করলে জানতে হবে; না জানলে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন কীভাবে। শুধু স্লোগান দিলে চলবে না। স্লোগানের রাজনীতির দিন শেষ হয়ে গেছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদল আয়োজিত আলোচনাসভায় জেলা শিল্পকলা অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুন্না বলেন, যুবদলের অনেক নেতাকে দেখেছি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন। দ্রুত এগুলো থেকে পদত্যাগ করেন। যুবদলের রাজনীতি করতে হলে এগুলোতে থাকা যাবে না।
যুবদল নেতাদের উদ্দেশে মুন্না বলেন, থানার ওসি, ইউএনও, ডিসি ও এসপিকে ফুল দেওয়া আপনাদের কাজ না। সুসম্পর্ক থাকলে বাইরে দেখা হলে কথা বলতে পারেন। ফুল দেবেন কেন? আমার তো এটা কাজ না। স্কুলে গিয়ে মাতব্বরি করা বন্ধ করেন। সমাজের সিনিয়রদের দায়িত্ব এইটা, আমার আপনার দায়িত্ব না। যদি কেউ এমন থেকে থাকেন তাহলে পদত্যাগ করুন। আর কারও কাছে এমন তথ্য থাকলে প্রমাণসহ আমাকে জানাবেন। আমি প্রশাসন বিদ্বেষী না। আমার কাজ তাদের অভিনন্দন জানানো না, আমার কাজ জনগণের পাশে থাকা। জনগণের সঙ্গে মিশতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন গবেষণা হয় না। কথায় কথায় আমরা যে আওয়ামী লীগকে দোষ দিই, কেন দিই? প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয়। প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে তারা গবেষণা করেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকদের ভিসি পদে পদায়ন করে প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগরা নষ্ট করে দিয়ে গেছে। ৩১ দফায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেখান থেকে বের হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।
গ্রামকে নষ্ট করে দেওয়ার প্ল্যান ছিল উল্লেখ করে মুন্না বলেন, আওয়ামী লীগ একটি স্লোগান দিয়েছিল- প্রত্যেকটি গ্রাম শহর হবে। তারা শহরকে ধ্বংস করেছে, গ্রামকে ধ্বংস করার প্ল্যান ছিল। অপরিকল্পিতভাবে গ্রামে ৪-৫ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কৃষকদের সম্পত্তি দখল করে গাজীপুর এলাকা ধ্বংস করে দিয়েছে রিসোর্ট করে। এ দেশে পরিকল্পিতভাবে বিকল্প চাষাবাদ চালু করে চাল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এ কারণে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হয়। এভাবে বাংলাদেশের মানুষকে গত ১৬ বছর ভারতের তাঁবেদার, দালাল বানিয়ে রেখেছে।
পিএ/টিএ