ডাকসু নির্বাচনে স্যেকুলার বাম, বিএনপি এমনকি শিবিরও কল্পনা করেনি তাদের ফেনোমেনাল জয় সম্ভব হবে। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবেই সেই জয় এসেছে, যা অনেকের মতে বাঙালি মুসলমানের রাজনৈতিক এজেন্সির অবশ্যম্ভাবী উত্থানের প্রতিফলন। বিএনপি এখনো এই সাফল্যের কারণ অনুধাবন করতে পারেনি, আর জামায়াত তা বুঝেছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
আজ (১৩ সেপ্টেম্বর ) তার ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ টাইমস এর পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
শুধু স্যেকুলার বাম, বিএনপি ইন্ডিয়াই না, শিবির নিজেও ভাবেনি ডাকসুতে তাদের ফেনোমেনাল বিজয় হবে। কিন্তু হয়েছে।
কেন হয়েছে সেটা এখনো বিএনপি বুঝে নাই। জামাত বুচ্ছে কিনা আমি শিওর না।
বাঙালি মুসলমানের রাজনৈতিক এজেন্সির অবশ্যম্ভাবী উত্থান ঘটেছে। ডাকসু তার এক্সপ্রেশন। এই কাজটা এমনি এমনি হয় নাই। বাঙালি মুসলমানের রাজনৈতিক এজেন্সি তৈরির কাজটা অনেকেই নিষ্ঠার সাথে করেছেন, তাকে থিওরাইজ করেছেন, এজুকেইট করেছেন একটা প্রজন্মকে। কিন্তু এই মহাযজ্ঞে একজনের কথা না বললেই নয় তিনি ওয়ান এন্ড ওনলি গৌতম দাস।
যার মেন্টরিং আর সাহচর্য না পেলে আমি কখনোই আজকের পিনাকী হইতে পারতাম না।
জাতীয় নির্বাচনেও ডাকসুর পুনরাবৃত্তি ঘটবে। খালি বিএনপির বাইরের শক্তিগুলোকে একটা ছাতার নিচে আনতে হবে। বাকীটা জনগন করে দেবে নিজে নিজেই। বিএনপি এখন আর ভায়াবল পলিটিক্যাল ফোর্স না। তার হিস্টোরিক ভোট ব্যাংকের সাথে তাদের তালাক হইছে। কিন্তু ইদ্দতকাল পুরণ হওয়ার আগেই তারা ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভের সাথে নিকাহ বসিছে।
খালি মাথা ঠান্ডা কইরা আগাইলেই হবে। এলাহী ভরসা।
টিকে/