ইউরোপের শ্রেষ্টত্ব ধরে রাখার অভিযানের শুরুটা দুর্দান্ত হলো পিএসজির। আতালান্তার ওপর প্রায় পুরোটা সময় আধিপত্য করে বড় জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ল লুইস এনরিকের দল।
ঘরের মাঠে বুধবার রাতে ৪-০ গোলে জিতেছে গত মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা দলটি। অধিনায়ক মার্কিনিয়োস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ান খাভিচা কাভারাৎস্খেলিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে অন্য দুটি গোল করেন নুনো মেন্দেস ও গন্সালো রামোস।
ঘরোয়া লিগে টানা চারটি ম্যাচ জেতা পিএসজি ইউরোপ সেরার মঞ্চে নেমে তৃতীয় মিনিটেই গোল উদযাপন করে। ফাবিয়ান রুইসের পাস পেয়ে খুব কাছ থেকে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস।
এগিয়ে যাওয়ার পর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। তাতে একরকম কোণঠাসা হয়ে পড়ে আতালান্তা। প্রায় ৭০ শতাংশ সময় পজেশন রেখে প্রথম ২০ মিনিটেই ৯টি শট নেয় পিএসজি, এর পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।
এরপর পিএসজি আক্রমণের ধার কিছুটা কমে আসে। তবে সেই সুযোগ নিতে পারেনি আতালান্ত।
উল্টো ৩৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। আশরাফ হাকিমির পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শটে গোলটি করেন জর্জিয়ান ফরোয়ার্ড কাভারাৎস্খেলিয়া।
তিন মিনিটের মধ্যে তৃতীয় গোলও পেতে পারতো পিএসজি। মার্কিনিয়োস ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি তিন দিন আগে লিগ আঁর ম্যাচে জোড়া গোল করা ব্রাডলি বার্কোলা, তার স্পট কিক আটকে দেন গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেকটি গোল করে জয়ের পথে এগিয়ে যায় পিএসজি। বার্কোলার পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার মেন্দেস।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটে আতালান্তার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রামোস।
এমআর