যশোরের শার্শায় একটি পেট্রোল পাম্প জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনাল নামে এক বিএনপি নেতা জাল-জালিয়াতি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্পটি দখলে নিতে লাগাতার হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তনিমা তাসনুমা। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সংবাদ সম্মেলনে তনিমা তাসনুমা বলেন, তার পিতা গোলাম কিবরিয়া ১৯৯৫ সালে (বাগআঁচড়া মৌজার ২৮৬৫নং খতিয়ানের ৩৩৭৪নং হাল দাগ) ১৭ শতক জমি কিনে মেসার্স গোলাম কিবরিয়া ফিলিং স্টেশনটি স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করেন। ২০২২ সালে তিনি মারা যান। এরপর ২০২৩ সাল থেকে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার ও তার সহযোগীরা জাল দলিল তৈরি করে পেট্রোল পাম্পটি অনেকবার দখলের চেষ্টা করেন। সবশেষে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একটি হস্তান্তর চুক্তিনামা তৈরি করেন। এ ঘটনায় জাল দলিলের বিরুদ্ধে তিনি এবং স্বাক্ষর জালের ঘটনায় বিচারক বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলা দুটি চলমান থাকলেও থেমে নেই আনোয়ার ও তার লোকজন।
গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ফিলিং স্টেশনে ঢুকে পাম্পের চাবিসহ সব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন এবং ম্যানেজারকে পাম্প থেকে বের করে দেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা চলে যান। তবে তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্প দখল করার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। এ অবস্থায় সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি দাবি করেন, ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে জমি ও পাম্প ক্রয় করেছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে পাম্পটি তিনি পরিচালনা করছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাম্প তার দখলে ছিল। গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সন্তানরা দলিল ও চুক্তিনামা মানে না। তারা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি ও পুলিশকে দিয়ে আমার কাছ থেকে পাম্পটি দখল করে নিয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলছে।’
পিএ/টিএ