ভারতের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ও গায়ক জিৎ গাঙ্গুলী প্রয়াত সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ-কে স্মরণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেছেন। এরপর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘তিন দশকের বন্ধন—সুর, হাসি আর ভ্রাতৃত্বের… আজ তোমার অনুপস্থিতি মেনে নেওয়া অসহ্য ভারী লাগছে। ভালোবাসি তোমায়, বন্ধু জুবিন।’
জীবনের প্রায় ৩০ বছর জুড়ে তারা একসঙ্গে সংগীতের মঞ্চ ভাগাভাগি করেছেন। দুজনে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। এই দীর্ঘ পথচলায় সৃষ্ট বন্ধন শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা গড়ে তুলেছিল।
জিৎ গাঙ্গুলীর মতো আরও অনেক শিল্পী জুবিনকে স্মরণ করে শোক প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পাপন, শান, প্রিতম, আরমান মালিক, বিশাল দাদলানি এবং আরও অনেকে। সকলেই জুবিনের অনুপস্থিতি অনুভব করছেন ব্যক্তিগত বন্ধু ও সহশিল্পী হিসেবে, পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের সংগীতজগতের এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হারানোর শোকও প্রকাশ করছেন।
আসামের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের আকস্মিক মৃত্যুর পর শোকে স্তব্ধ পুরো রাজ্য তথা উত্তর-পূর্ব ভারত। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ডুবে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হলো আসামের সংগীত-সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল অধ্যায়।
এর আগে আসাম সরকার জুবিনের মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জুবিন গার্গের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। শেষকৃত্যের স্থান হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে কামারকুচি (সোনাপুর সাব-ডিভিশন)। এ উপলক্ষে প্রায় ১০ বিঘা জমি বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার, যেখানে পরবর্তী সময় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে মরদেহ রাখা হবে গুয়াহাটির অর্জুন ভোগেশ্বর বরুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। সেখানে সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। এরপর শবযাত্রা নিয়ে যাওয়া হবে কামারকুচিতে, যেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।