জনপ্রিয় গায়ক তাহসান খান তার ২৫ বছরের সংগীত জীবনের বিশেষ মুহূর্ত উদযাপন করতে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া সফরে আছেন। সেখানেই অবসরের ঘোষণা ও কারণ জানিয়ে সবাইকে হতবাক দিয়েছেন তিনি।
সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাহসানকে বলতে শোনা যায়, ‘এটাই আমার লাস্ট কনসার্ট। আস্তে আস্তে মিউজিক ক্যারিয়ারটাও গুটিয়ে ফেলবো। মেয়ে বড় হচ্ছে, এখন কি দাঁড়ি রেখে স্টেজে দাঁড়িয়ে এমন লাফালাফি করতে ভালো লাগে?’
তার গান ছাড়ার ঘোষণা ও তার পেছনের কারণ নিয়ে এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা-সামলোচনা। অনেকের মতো এ নিয়ে ফেসবুকে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের নিষিদ্ধ সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন।
চেহারা ও শারীরিক গড়নেও বদল এসেছে তাহসানের .তিনি তাহসানের ওই বক্তব্যসমৃদ্ধ একটি ফটোকার্ড শেয়ার প্রশ্ন করেছেন, ‘দাড়ি রেখে বুঝি স্টেজে গান গাওয়া নিষেধ? মেয়ে বড় হলে বুঝি গান গাওয়া নিষেধ? লাফালাফি করতে ইচ্ছে না হলে লাফালাফি না করেও গান গাওয়া যায়। আমি তো জানি একমাত্র গান গাইতে না পারলেই স্টেজে গান গাওয়া উচিত নয়। তাহসান তো এখনও গান গাইতে পারেন। তাহসানের দাড়ি কি ইসলামী দাড়ি?’
তসলিমা নাসরিন এরপর লিখেছেন, ‘ইসলামী দাড়ি হলে না হয় বুঝতাম ইসলাম ব্যবসায়ীদের ফতোয়া মেনে গান ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। দেশে যখন গান বাজনা বন্ধ করার জন্য জিহাদি জঙ্গিরা উঠে পড়ে লেগেছে, তিনি তখন গান বাজনার পক্ষে না দাঁড়িয়ে গান বাজনা ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে কথা বলছেন। তিনি কি মনে করেন যে কণ্ঠশিল্পীরা দাড়ি রাখেন, যাদের মেয়ে বড় হয়, তাদের গান বাজনা বন্ধ করা উচিত? তাদের আর স্টেজে গান গাওয়া উচিত নয়? তাহলে তিনি তো জিহাদিদের মতোই কথা বললেন, যে জিহাদিরা বাউল উৎসব বন্ধ করছে, লালন মেলা বন্ধ করছে, স্কুলে গানের শিক্ষক বন্ধ করছে, গান বাজনার মাজার পুড়িয়ে দিচ্ছে! তিনি কি গান বাজনার বিরুদ্ধে ওদের জিহাদ ঘোষণায় সায় দিয়েছেন? তা না হলে তার কোনও প্রতিবাদ দেখিনি কেন?’
এবি/এসএন