নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত ও শ্রীলঙ্কায় আট দলের এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই টুর্নামেন্টের পরই ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে বিরতি নেবেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
মূলত ওয়ার্কলোড নিয়ন্ত্রণ করার জন্যেই ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে বিরতি নেবেন জ্যোতি। সংবাদ মাধ্যমে প্রথমে ক্রিকেট থেকে বিরতি নেয়ার কথা জানালেও পরবর্তীতে ক্রিকফ্রেঞ্জির কাছে এই ব্যাপারে খোলাসা করেন জ্যোতি।
সংবাদ মাধ্যমে জ্যোতি বলেন, 'গত ৬ মাস ধরে টানা ক্রিকেট খেলছি। এখন ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশ্বকাপের পর ব্রেক নেয়ার চিন্তা করেছি। ফিট না থেকে জাতীয় দলে খেলাটা ঠিক হবে না।'
পরে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জ্যোতি বলেন, 'আমার বিরতিটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না, আমি শুধু নারীদের এনসিএল খেলব না। নিজেকে ফিট রাখতেই এই চিন্তা, আমার জায়গায় অন্য কেউ খেলুক এনসিএল এটাই চাই। আমি কয়েকদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকব বিশ্বকাপ থেকে ফিরে।'
এদিকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার আগে দুই দলে ভাগ হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ পুরুষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে সিরিজ খেলতে দেখা যায় বাংলাদেশ দলকে। সেই সিরিজে ছেলেদের কাছে পাত্তাই পায়নি নারী দল দুটি।
সবগুলো ম্যাচেই নারীদের লাল দল ও সবুজ দলকে হারায় অনূর্ধ্ব-১৫ পুরুষ দল। এমনকি সিরিজও জিতে নেয় ছেলেরা। সেই সিরিজে প্রস্তুতি ভালো হয়নি, এমনটাও স্বীকার করে নিয়েছেন জ্যোতি।
তিনি বলেন, 'যে দুইটা টিম খেলেছে এর থেকে কিন্তু সবুজ দল অনেক ভালো খেলেছে। আমি যে টিম এ খেলেছি ওই টিমটা অত বেশি ভালো করতে পারে নাই। বাট অন্য টিমটা অনেক ভালো কম্পিটিটিভ ক্রিকেট খেলছে। সো উদ্দেশ্য ছিল কিন্তু তাদের সাথে খেলা যে নতুন একটা মানে কম্পিটিটিভ টিমের সাথে খেলা।'
'কারণ নিজেদের ভিতরে যতবারই আমরা খেলতেছি আমরা আমাদের বোলারদেরকে বলেন, ব্যাটারদেরকে বলেন খুব ভালোভাবে রিড করতে জানি। কে কোথায় স্ট্রং, উইক। তো ওইটা অতটা বেশি বলব যে চ্যালেঞ্জিং হইতো না। বলব যে অপ্রত্যাশিত ছিল যে হয়তোবা আরেকটু ভালো ক্রিকেট খেলা যাইতো।'
আইকে/টিএ