ভারত-পাকিস্তান মানেই রুদ্ধশ্বাস লড়াই। তবে সেসব এখন অতীত। কেননা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথ আর তেমন দেখা যায় না মাঠে। ম্যাচগুলো হয় একপেশে।
তবে ঠিকই কথার ঝাঁজ চলে। এশিয়া কাপেও তার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। দুই ম্যাচেই ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে পাকিস্তান। এতে করে টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যান দাঁড়িয়েছে ১২-৩।
স্পষ্টত ভারত যোজন যোজন দূরত্বে এগিয়ে থাকায় প্রতিপক্ষকে খোঁচা মারতে ছাড়েননি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আপনারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করুন।
সূর্যর কটাক্ষের জবাব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দিতে চান শাহীন শাহ আফ্রিদি। সেটিও মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে।
যদিও দুই দলের কেউই এখনো ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে সুযোগ আছে তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপে দুই দলের লড়াই হওয়ার।
সূর্যর খোঁচার বিষয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শাহীন আফ্রিদি বলেছেন, ‘এটা তার (সূর্য) মতামত, তাকে বলতে দেন। যখন তারা ফাইনালে উঠবে তখন দেখব। আমাদের উদ্দেশ্য এশিয়া কাপ জেতা।
ফাইনালে তাই যে দলই আসুক না কেন তাদের হারাতে পাকিস্তান প্রস্তুত আছে বলে জানান শাহীন আফ্রিদি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখানে শিরোপা জিততে এসেছি। ফাইনালে যে দলই আসুক না কেন আমরা তাদের হারাতে প্রস্তুত।’
তবে লক্ষ্য পূরণ করার আগে শাহীন আফ্রিদির ফাইনালে উঠতে হবে। আর ফাইনালে উঠতে হলে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে পাকিস্তানকে। তবে সেটা নির্ভর করছে আজকের ম্যাচে ভারত-বাংলাদেশের ফল কী হয়। বাংলাদেশ যদি আজ হারে তাহলে আগামীকাল বাংলাদেশ-পাকিস্তান যে দলই জিতবে তারাই ফাইনালে।
আবার ভারতকে যদি বাংলাদেশ হারায় তখন নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান জিতলেই হবে না, নেট রানরেটের হিসাব কষতে হবে। কেননা তখন বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান তিন দলের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। ভারতকে তখন শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হবে।
সুপার ফোরে পাকিস্তানকে হারানোর পর সূর্য বলেছিলেন, ‘আমি একটা কথাই বলতে চাই। আপনারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করুন। মান আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা একই জিনিস। ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন শুধুই অতীত। আমার মতে, যদি দুই দল ১৫-২০ ম্যাচ খেলে এবং ফলাফল হয় ৭-৭ বা ৮-৭, তখন তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলা যায়। কিন্তু ১৩-০, ১০-১… আমি সঠিক পরিসংখ্যান জানি না। তবে এটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়।’
ইএ/টিএ