ইসরায়েলকে পশ্চিমতীর দখল করতে দেব না, মুসলিম নেতাদের কথা দিলেন ট্রাম্প

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গতকাল (২৩ সেপ্টেম্বর) আট মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বৈঠকে ট্রাম্প মুসলিম নেতাদের কথা দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলকে তিনি পশ্চিমতীর দখল বা অধিগ্রহণ করতে দেবেন না।

এরআগে সংবাদমাধ্যম পলিটিকো বৈঠক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে একই তথ্য জানিয়েছিল।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, পর্তুগালসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। এই স্বীকৃতির জবাবে দখলদাররা পশ্চিমতীর দখল করার হুমকি দিয়েছিল। এই হুমকির মুখেই মুসলিম নেতাদের এমন কথা দিলেন ট্রাম্প।

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে মুসলিম নেতাদের কাছে নিজের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

দুটি সূত্র টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছে, এই পরিকল্পনায় গাজার যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসবিহীন একটি নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের পরিকল্পনার ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে। তবে এতে যুদ্ধ বন্ধের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।

মুসলিম নেতাদের কাছে দেওয়া নতুন ও পরিকল্পনা ও প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় কয়েক সপ্তাহের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, যার মাধ্যমে হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত দেশগুলো ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।

ওই সময় মুসলিম নেতারা একটি যুক্তিপত্র উত্থাপন করেন। এতে গাজায় যুদ্ধ অবসানের প্রস্তাবকে সমর্থন এবং জিম্মিদের মুক্তি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন তারা। একই সাথে, তারা ট্রাম্পের এই শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

এছাড়া যুক্তিপত্রে দখলদার ইসরায়েলের বিরোধিতা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখা, গাজা ও পশ্চিমতীর দখল, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা এবং জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোতে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করার বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সংশোধিত বাজেটে প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি পরিবর্তন হচ্ছে : অর্থ উপদেষ্টা Nov 12, 2025
img
নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া বড় সংকট: আখতার হোসেন Nov 12, 2025
img
আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের থেকে সাবধান : আমান উল্লাহ আমান Nov 12, 2025
img
মন্ত্রীর দুর্নীতি ধরবে কে, প্রশ্ন তাসনিম জারার Nov 12, 2025
img
হৃদরোগে ভুগছেন অস্কার, ভাবছেন অবসরের কথা Nov 12, 2025
img
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা Nov 12, 2025
img
জীবনের টাকা কামিয়ে নেওয়া সহজ সম্মান অর্জন সহজ নয়: দেব Nov 12, 2025
img
নির্বাচনের আগে গণভোটের যৌক্তিকতা নেই, সময়ও নেই: সালাহউদ্দিন Nov 12, 2025
img
টাঙ্গাইলে মহিলা দলের ৪ নেত্রী বহিষ্কার Nov 12, 2025
img
ঠাকুরগাঁওয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার Nov 12, 2025
img
না ফেরার দেশে কনটেন্ট ক্রিয়েটর দিপংকর Nov 12, 2025
img
গোপন বৈঠকে নাশকতার পরিকল্পনা, যুবলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার Nov 12, 2025
img
পতিত ফ্যাসিবাদের হিংস্রতা আবারও দেখা যাচ্ছে: চরমোনাই পীর Nov 12, 2025
img
পতিত সরকার ওত পেতে আছে নির্বাচন বানচাল করতে: রিজভী Nov 12, 2025
img
গোল দিয়ে একবারই ক্ষমা চেয়েছেন মেসি Nov 12, 2025
img
মাহমুদুলের ঝলমলে সেঞ্চুরিতে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ Nov 12, 2025
img
জারিন খানের স্মৃতিচারণ করে হৃতিকের আবেগঘন বার্তা Nov 12, 2025
img
জ্যাকি চ্যানের মৃত্যুর খবর ঘিরে শোরগোল Nov 12, 2025
img
এবার মিরপুরে বাসে অগ্নিকাণ্ড Nov 12, 2025
img
নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবেন স্টারমার Nov 12, 2025