রাষ্ট্রের অর্থের এই অপচয়, পরিবর্তনটা কোথায় হবে বলে প্রশ্ন করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান পৃথিবীর বিখ্যাত মানুষ, তিনি নিজেই গুনে গুনে এখন পর্যন্ত ২৬টা সুবিধা নিয়েছেন। যেগুলো তিনি না নিলেও পারতেন। ম্যানপাওয়ার লাইসেন্স থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটির অনেক কিছুই।
কিন্তু তিনি শেখ হাসিনার মতো বিমান ভর্তি করে এই যে নিউইয়র্কে গেলেন, কাউকে কাউকে রাস্তাঘাটে ডিমের অত্যাচার বা গালিগালাজ সহ্য করবার জন্য। কয়েকদিন ধরে শুনছি, কেউ কেউ বলছেন উনি মাত্র পাঁচ-সাত জন নিয়ে গেছেন। কিন্তু উনি ১০৪ জনকে নিয়ে এই সফরে গেছেন।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশাল বহর নিয়ে জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশগ্রহণের খরচ প্রসঙ্গে সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার সমালোচনা করতাম যে, তিনি তার আত্মীয়স্বজন পরিবার বর্গের, অনেক সময় মেয়েকে কখনো ছেলেকে নিয়ে যেতেন। প্রফেসর ইউনূস কি তার ব্যতিক্রম? গত বছরও তিনি তার কন্যাকে নিয়ে গেছেন, এ বছর তো দু কন্যাকে নিয়ে গেছেন। সাতজন উপদেষ্টা গেছেন এই সফরে। ছয়জন রাজনীতিক নিয়ে গেছেন।
এর বাইরেও ওই সরকারের যে ভাবাদর্শ আছে সেই ভাবাদর্শের অনুসারী কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রের অর্থের এই অপচয়, আমরা কি কেবলমাত্র শেখ হাসিনার সমালোচনার মধ্য দিয়ে বা শুনেই হজম করব? পরিবর্তনটা কোথায় হবে?’
জিল্লুর বলেন, ‘একটা দেশ যেই দেশে আমরা ব্যবসায়ীদের গালিগালাজ করি। অনেক আজেবাজে কথা বলি। ব্যবসায়ীদের যে দোষ নেই তা নয়। তাদের দিক থেকে তারা জীবন বাঁচানোর জন্য, ব্যবসা বাঁচানোর জন্য করেছেন।
দেশে প্রতিটা ব্যবসায়ীর পেছনে লেগে থাকা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে, আইন দিয়ে বেআইনিভাবে, চাঁদাবাজির মাধ্যমে- ফলে কেউ ভালো ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প গড়ে তুলতে পারছে না। কেউ জেলে, কেউ বিদেশে, কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দেশের ইকোনমি রান করবে কিভাবে?’
জিল্লুর আরো বলেন, ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তো অর্থনীতিবিদ, বোঝার কথা। ইকোনমি রান করার জন্য সেখানে অক্সিজেন দিতে হয়। সেখানে ক্ষতিকর কাউকে কাউকে অনেক সময় বাঁচিয়ে রাখতে হয়। আপনি সেটা তো করছেন না। শেখ হাসিনার আমলের অনেক সমালোচনা আমরা করেছি। কিন্তু এই সরকার কী করছে? এই যে তার একেকটা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ একজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে হাঁস খাওয়া থেকে শুরু করে অনেক অভিযোগ কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেই।’
এসএস/এসএন