১৫ বছরে গায়ে অনেকের আঁচড় লাগেনি, এখন আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে: শামারুহ মির্জা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মেয়ে শামারুহ মির্জা বলেছেন, ‘১৫ বছরে গায়ে অনেকের আঁচড় লাগেনি, এখন উড়ে এসে জুড়ে বসে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

শামারুহ মির্জা লিখেছেন, ‘আমি যখন আমার বাবার সঙ্গে জেলখানায় দেখা করতে যেতাম, তিনি নিজের কষ্টের কথা কিছু বলতেন না! শুধু বলতেন, ছেলেগুলোর কথা, কারো নখ তুলে নিয়েছে, কারো শরীর জুড়ে মারের দাগ! কেঁদে ফেলতো আব্বু। আব্বু নিজেকে খুব অপরাধী ভাবতো, বলতো এই ছেলেগুলো জীবন শেষ করে আন্দোলন করলো, বিয়ে করেনি, অনেকে পড়াশুনা ঠিক করে করেনি! ফেরার সময় আম্মুকে বলতেন, কিছু টাকা দিয়ে যেও! সেই টাকা আব্বু ছেলেগুলো যাতে ভালো খায়, সেখানে খরচ করতেন!’

শামারুহ আরও লিখেছেন, ‘পনেরো বছরে গায়ে অনেকের আঁচড় লাগেনি, এখন উড়ে এসে জুড়ে বসে অঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। তুমি এখন কি করবা? কান্নাকাটি করবা, কমপ্লেইন করবা নাকি ব্যাপারটা বুঝে নিজের দিকে তাকাবা?’

শামারুহ মির্জা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আজকে কিছু কথা বলি, ভাই ও বোনেরা, তোমরা যারা গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছো, মাঠে খেতে বিলে লুকিয়ে থেকেছো, জেলে গেছ, মার খেয়েছো, এখন আল্লাহর ওয়াস্তে নিজের জীবনটা নিয়ে ভাব! এখন নিজের জীবন নিজের দেশ গড়ার সময়! কে কী করলো, কে কী বললো, না ভেবে ক্যারিয়ার গড়ো, আসল জাতীয়তাবাদী রাজনীতি করো, কারো ক্যাডার হতে যেয়ো না! এই ভাই ওই ভাইয়ের পিছনে না ঘুরে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী রাজনীতি আর লিবারেল ডেমোক্রেসির চর্চা করো, মানুষের সেবা করো! না, কাউকে মাইর দেওয়া তোমার কাজ না! ইউ হ্যাভ ডান ইট এনাফ! গণঅভুত্থানের সরকার নিজেকে সামলাক!’

তিনি বলেন, ‘লাইফে সবচেয়ে জরুরি হলো ঈমান আর স্ট্রাটেজি! তুমি যখন আত্মবিশ্বাসী হবে, রাজনীতিও সোজা হবে! তাতেই দলের সবচেয়ে উপকার হবে!’

এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img

গোলাম মাওলা রনি

আওয়ামী লীগের ভোটাররা আল্লাহর মালে পরিণত হয়ে গেছেন Nov 11, 2025
img
না ফেরার দেশে, হি-ম্যান খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র Nov 11, 2025
img
গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো-২০২৫ এ এফএমএম-এর প্রতি‌নি‌ধি‌দের আমন্ত্রণ Nov 11, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে ১০ম দিনের আপিল শুনানি শুরু Nov 11, 2025
img
আচরণবিধি ভাঙলে প্রার্থিতা বাতিল Nov 11, 2025
img

নয়াদিল্লিতে বিস্ফোরণ

পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র Nov 11, 2025
img
এক ছাত্রীকে দুজন পছন্দ করাকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তেজনা, কলেজ বন্ধ Nov 11, 2025
img
গালফ হেলথ কাউন্সিলের মহাপরিচালকের সাথে প্রবাসীকল্যাণ সচিবের বৈঠক Nov 11, 2025
img
আবু সাঈদ হত্যা : ট্রাইব্যুনালে ১১তম দিনের সাক্ষ্য আজ Nov 11, 2025
img
সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর সেনাপ্রধানের Nov 11, 2025
img
বিএনপির সংবাদ সম্মেলন দুপুরে Nov 11, 2025
img
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Nov 11, 2025
img
৫ দফা দাবিতে ঢাকায় জামায়াতসহ ৮ দলের সমাবেশ দুপুরে Nov 11, 2025
img
গাজায় ত্রাণ আটকে দিচ্ছে ইসরায়েল, জাতিসংঘের অভিযোগ Nov 11, 2025
img
দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর Nov 11, 2025
img
সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে ৭ দফা নির্দেশনা জারি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের Nov 11, 2025
img
সাজতে ভালবাসি, নিন্দা করুক কেউ: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় Nov 11, 2025
img
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি স্থগিত করল থাইল্যান্ড Nov 11, 2025
img
বিশ্বের সবাই ট্রাম্পকে ভয় পায়, আমি পাই না: জেলেনস্কি Nov 11, 2025
img
ধর্মেন্দ্র’র শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে Nov 11, 2025