ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সারা দেশে শুরু হয়েছে নির্বাচনী ডামাডোল। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যস্ত নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্তকরণ ও কর্মসূচি গ্রহণে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ইতিমধ্যে আগামী চার মাসের নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের একটাই প্রশ্ন কবে দেশে ফিরবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান?
এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেছেন, “দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অতি শিগগিরই, ইনশাআল্লাহ।”
এদিন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এসজেটিএম জাহিদ হোসেনও জানান, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, “তারেক রহমান ফিরে এসে শুধু বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেবেন না, বরং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্নেও হাল ধরবেন।”
বিএনপির সিনিয়র নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেছেন, “শিগগিরই দেশে ফিরছেন তিনি।”
২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সর্বশেষ ক্ষমতায় আসে বিএনপি। এরপর থেকে টানা ১৯ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে দলটি। তবে গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পতনের পর নতুনভাবে চাঙ্গা হয়েছে বিএনপি। বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনও দলটির পক্ষে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। তাদের প্রত্যাশা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসবে বিএনপি। ভোটাররাও বিএনপির পক্ষে রায় দেবেন বলে বিশ্বাস সবার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন, রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ ও রোডম্যাপ ঘোষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তারেক রহমানের দেশে ফেরা এখন অত্যন্ত জরুরি। নেতাকর্মীরাও মনে করছেন, তারেক রহমান ফিরলে বিএনপির গতি বাড়বে এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও কেটে যাবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সব রাজনৈতিক মামলা থেকেও ইতোমধ্যে খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। তাই তার দেশে ফেরার আর কোনো আইনি বাধা নেই। শুধু তার প্রত্যাবর্তনের দিনক্ষণ জানার অপেক্ষায় আছে নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান দেশে ফেরার পর কোন বাসায় উঠবেন তাও চূড়ান্ত হয়েছে। বাসাটি ইতোমধ্যেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা শেষ হয়েছে। সবকিছু প্রস্তুত এখন শুধু লন্ডন থেকে তারেক রহমানের পদার্পণের অপেক্ষা।
ইউটি/টিএ