ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে চারটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে ২৫ বিলিয়ন ডলারের (২ হাজার ৫০০ কোটি) চুক্তি করেছে তেহরান। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি চূড়ান্ত হয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রশ্নে ভোটাভুটি হওয়ার সময় এ ঘোষণাটি এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হরমুজগান প্রদেশের সিরিক শহরে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ওপর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গড়ে তোলা হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের সন্নিকটে অবস্থিত এ প্রদেশে নির্মিত চারটি ইউনিট থেকে মিলিতভাবে পাঁচ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম ইরানে ক্ষুদ্র আকারের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ঘোষণা দেয়। তবে সেক্ষেত্রে কতগুলো কেন্দ্র হবে, তা জানানো হয়নি।
ইরানে বর্তমানে মাত্র একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহরে অবস্থিত এ কেন্দ্রটিও রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত, যার উৎপাদনক্ষমতা এক গিগাওয়াট।
রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। চলতি বছরের জুনে মস্কো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল। পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে আসছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আড়ালে ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।
তবে ইরান বারবার সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে গত সপ্তাহে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আবারও বলেন, তার দেশ কখনো পারমাণবিক বোমা তৈরির পথে হাঁটবে না। রাশিয়াও ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করছে। তাদের মতে, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি কূটনৈতিকভাবে টিকিয়ে রাখাই জরুরি।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া আজ শনিবার কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
এর পক্ষে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।
ইএ/টিএ