তামিল সিনেমার অন্যতম সেরা সুপারস্টার ও রাজনীতিবিদ থালাপাতি বিজয়ের জনসভায় পদপিষ্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তামিলনাড়ুর করুরে বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেট্ট্রি কাজাগাম (টিভিকে)-এর জনসভায় হুড়োহুড়ির একপর্যায়ে পদপিষ্টে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
করুরের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ডেভিডসন দেবাশির্বাথাম জানিয়েছেন, ৫০০ জনকে ইতোমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং কমপক্ষে আরও ৪০০ জনকে হাসপাতালে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
কিন্তু এই ঘটনার নেপথে কী?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্করা ছিলেন বিজয়ের রাজনৈতিক দল টিভিকে-এর সমর্থক। তারা অন্তত ছয় ঘণ্টা ধরে সমাবেশে অপেক্ষা করছিলেন, তবে বিজয় দেরি করে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। তিনি বক্তৃতা শুরুর পরপরই সমাবেশস্থলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিপুল সংখ্যক মানুষ সামনের দিকে আসার চেষ্টা করেন, তাতেই পদদলনের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা বিজয় যখন তার বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন হঠাৎ করেই সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এতে নিরাপত্তাকর্মীরা অ্যালার্ম বাজাতে শুরু করেন এবং বিজয় তার বক্তৃতা থামিয়ে দেন। পরে সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধারের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পিটিআই আরও জানিয়েছে, প্রচন্ড ভিড়ের কারণে অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনুষ্ঠানস্থলে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এই ঘটনায় শোক জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এম সুব্রহ্মণ্যন।
এদিকে এ ঘটনায় এরইমধ্যে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। অন্যদিকে তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন ডিএমকে অব্যবস্থাপনার জন্য বিজয়ের গ্রেফতার দাবি করেছে।