জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, মার্কা নিয়ে নির্বাচন কমিশন ছলনা করছে। এটাতে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, এ নির্বাচন কমিশন আসলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মত যে নিরপেক্ষতা এটা তারা রাখতে পারছে না। নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট পরিমাণ চেষ্টা করেছে যেন আমাদের কোনো না কোনো দোষ ধরা যায়। আমরা তাদের সমস্ত ক্রাইটেরিয়া, পুরোনো আরপিওর শর্তগুলো মিটআপ করেই নিবন্ধনটা পাচ্ছি।
সম্প্রতি এক টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, এপ্রিল মাসে আমরা তাদেরকে বলেছিলাম যে, আপনারা শাপলাটা অন্তর্ভুক্ত করেন। তারা বলেছিলেন হ্যাঁ, নতুন নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ এটা যখন পরিবর্তন করা হবে তখন আমরা নতুন মার্কা নিব। নতুন মার্কা নেওয়ার ক্ষেত্রে শাপলা থাকবে। তারপর ২২ জুন আমরা যখন নিবন্ধনটা আবেদন করলাম অফিশিয়ালি সেদিন বলি, আমাদের পার্টির এগেইনস্টে আপনারা শাপলাটাকে সংরক্ষণ করেন। এটা মিডিয়ার মাধ্যমে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, নানাভাবে সবাই জেনে গেছে। পরবর্তীতে আমাদের জুলাই পদযাত্রায় সারা দেশ থেকে যারা এসেছে তারা সবাই এই শাপলা ফুলটা নিয়ে এসেছে। শাপলার সাথে আমাদের একটা ন্যাচারাল বা অর্গানিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছিল।
তুষার বলেন, পরবর্তী তারা এসে বলা শুরু করে, এটা জাতীয় প্রতীক। সুতরাং এটা দেওয়া যাবে না। তখন আমরা তাদের সাথে দেখা করে আবারও বলি, এটাকে আপনারা যে বলছেন এটা জাতীয় প্রতীক, এই কথাটা ঠিক না। শাপলা জাতীয় প্রতীক না। কারণ জাতীয় প্রতীকটা হচ্ছে পানিতে ভাসমান শাপলা তার দুই পাশে ধানের শীষ, পাঠ তারপর তারকা এই সমস্ত কিছু মিলে। এছাড়াও একটা নির্দিষ্ট রং, একটা নির্দিষ্ট নকশা। এই সবটাই বিধিবদ্ধ করা আছে। ১৯৭২ সালে জাতীয় প্রতীকের যে বিধি সেটার মধ্য দিয়ে।
তুষার আরো বলেন, আমরা পানিতে ভাসমান শাপলা চাই নাই। আমরা বলি নাই যে মার্কাটা ব্যালটে পানিতে ভাসমান শাপলা। পানি এবং শাপলা দুটো উপাদান। দুটো উপাদান মিলে যদি আমরা বলতাম যে পানিতে ভাসমান শাপলা আমাদেরকে দেন তবুও এটা আসলে জাতীয় প্রতীকের কাছাকাছি হতো। সেটা আমরা বলি নাই। আমরা শাপলার কথা বলেছি। পরবর্তীতে তারা এটা বলা বন্ধ করেছে যে— এটা জাতীয় প্রতীক সুতরাং দেওয়া যাবে না। কিন্তু তারা অন্তর্ভুক্ত করে নাই। এতে করে আমাদের মনে হচ্ছে, তারা আমাদেরকে অহেতুক জিনিসে ব্যস্ত রাখতে চায় এবং আমাদেরকে এক ধরনের ভোগান্তির মধ্যে দিতে চায়।
ইউটি/টিএ